সে বললো ,
একটু সহজ সরল করে লিখো তোমার কবিতা ,
তোমার লেখা কিছু বুঝতে পারি না ।
দিন দিন শব্দ গুলো কেমন কঠিন ,জটিল হয়ে যাচ্ছে –
কেমন্  যেন কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ার মত জট পাকিয়ে যাচ্ছে ।


আমি , এক সমুদ্র জলের পাশে গিয়ে বসলাম ,  
বললাম , সবাই বলে জল তুমি নাকি খুব সহজ সরল  –
তাই এলাম তোমার কাছে মন্ত্র নিতে ,
এবার থেকে সহজ করে লিখব আমি –
জল বলল , তুই লিখবি ?সত্যি লিখবি ?
আমার মত সহজ সরল তরল করে লিখবি ?
আমি বললাম তিন সত্যি, দাওনা আমায় সহজ লেখার মন্ত্র খানা –


একঝটকায় হঠাত  আমায় ফেলল ছুড়ে জলের তোড়ে ভাঙ্গা ঝিনুকের ওপর –  
আমার হাতের শিরা ও ধমনি কেটে ফিনকি দিয়ে  ঝরছে প্রবল রক্ত –
জল বল্ল এই যে তোর লাল তরল টাটকা রক্ত , এই তোর সহজ  সরল প্রানের জীবন কথা ,
এবার তুই লিখতে থাক এই রক্ত ঝরা হাতে -  
আমি বললাম এভাবে কি যায় লেখা , আমার যাবে যে প্রান খানা-    
অবাক হল জল ,
বলল, এই যে বললি এবার থেকে লিখবি নাকি আমার মত সহজ সরল তরল সত্য –
জানিস নাকি সহজ সরল লিখতে গেলে আজকাল দিতেই হয় রক্ত –
নয়তো বা নিতেও হয় লাল টাটকা রক্ত -