গাছের  গুঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে গড়িয়ে চলে সময়
এক সময় পৃথিবীর শেষ প্রান্তে চলে যাব
যেখানে রাত দিনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই
আছে উলটে পরা সাগরের ওপিঠে ধুধু মরু পাহাড়।


ছেঁড়া ছেঁড়া বেগুনী আকাশে ওড়ে
ক্রিস্টাল পাখি। পাখিনীর খোঁজে, ক্লান্তিতে থামে
যেখানে নিঃসঙ্গতা হাটুগেড়ে বসে আছে।


মরুপাহাড়ের সিঁড়ি বেয়ে এঁকেবেঁকে উঠে যাওয়া সুক্ষ আলো
দু'হাতে বেঁধে আকাশের বুকে লবনাক্ত ছুঁতেই
আঁজলা ভরে নেমে এলো মেঘালয়ের মেঘ ফুল।


সেদিন আমি বড্ড একা,আনমনে শুন্য প্রহরের ভাঁজে
রেখেছিলাম ঢলে পড়া গোধুলীর লালিমা।
কথা ছিল আসবে....
জিন্সের বাঁ পকেটে হাত দিতেই, হাতের সাথে জড়িয়ে আসে
গতকালের বিকাল। কোথায় গেলে তুমি প্রিয় ?


আজও পাখিনীর খোঁজে, দু'ডানার ভেতর বকুলের ঘ্রাণ নিয়ে
উড়ে পাখি।এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।
আকাশের চাঁদ তিনকোনা ফুল হয়ে রক্ত ঝরায়
শরীরের গভীর থেকে দরজা খুলে বেড়িয়ে পরে উষ্ণতা।


প্রিয়, তোমার ত্বকের ঘ্রাণ এখনো ছড়িয়ে আছে মরুপাহাড়ের
বাঁকে বাঁকে।নাভিমুলে অজানা স্পর্শ নিউরোন ছুঁয়ে
ঢলে পরে রক্তিম আভায়। ধীরে ধীরে পা ফেলে আয়না ঘরে
ছোট হয়ে আসে সব আকাংক্ষা,না পাবার কষ্ট
নীল নীল জমে যাওয়া চোখ খুঁজে না আর উষ্ণতা
জ্বলন্ত আগুনে আর জ্বলে উঠে না মন।