দিন শেষে সন্ধ্যায়, আলো জ্বলে রাস্তায়-
ফুটপাথে তবুও সে আন্ধারে।
চলে যায় গাড়ি গুলো, জ্বলে ওঠে বাড়ি গুলো-
ঢুকে পড়ে সেও ছেঁড়া চাদরে।


রাত কাটে ধীর পা'য়, পথঘাট শুনশান-
নিভে যায় ঘর-বাড়ি আঁধারে।
ফুটপাথে ক্ষীণ আলো, যায়না দেখা ভালো-
দুটো চোখ উঁকি মারে ঐ ফুটো চাদরে!


রাত কাটে ধীর পা'য়, চাদরটা অসহায়-
নড়ে চড়ে ওঠে মাঝে মাঝে ।
মনে হয় আন্দাজে, করে নিতে চায় সে যে -
রাত তখন কটা বাজে।


ভোর যেই, হলো সেই-
ধীরে ধীরে সরে যায় চাদরটা!
চাদর থেকে ঐ, বেরিয়েছে ঐ সেই-
ফুটপাথবাসী দাঁড়ি লোকটা!
উঠে ঐ বাঁকা পীঠে, হেঁটে যায় সোজা দিকে-
যেদিকে পড়ে বাজারটা!


ডাস্টবিন ঘেঁটে ঘেঁটে, কি যে খায় চেটেপুটে-
পেয়েছে আধখানা পরটা!
তিনটে কুকুর এসে দাঁড়িয়েছে তারপাশে-
হুট হাট করে দাঁড়ি লোকটা।


পারেনি সে পুরো খেতে, আধটা নিয়েছে খুঁটে-
লাল-কালো মিশেলি কুকুরটা!
ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে, কিছুটা গেছিল ধেয়ে-
পারেনি সে ধরতে কুকুরটা!


ডাস্টবিনে ফিরে গেছে, সব কিছু দেখে বেছে-
মিলবে কি আর কিছু পরটা!


একটু পরেই সেই দোকানের লোকটা-
তার দিকে পাকিয়েছে তার লাল চোখটা!
ডাস্টবিন ছেড়ে দিয়ে, হাতটা গুটিয়ে নিয়ে-
ফিরে যায় ঐ দাঁড়ি লোকটা!


কি যে বলে আনমনে, পিছু ফেরে ক্ষণে ক্ষণে-
কি- যে দেখে বুজে যাওয়া চোখটা!
ফুটপাথে ফিরে গিয়ে, চাদরটা মুড়ি দিয়ে-
শুয়ে পড়ে ঐ দাঁড়ি লোকটা!