আসব আমি আবার ফিরে
এই পৃথিবীতে
নতুন নামে, নতুন রূপে  
শিল্পী হয়ে
শুধু তোমারই জন্য।
আঁকব তোমাকে আমার ক্যানভাসে,  
কোন অশান্ত সাগরপাড়ে বালূকাবেলায়,
নীল আকাশে রইবে বাদল মেঘ; ল্যান্ডস্কেপে
নীল সাগরের ওপারে।  
মুক্তো ঝরানো হাসি রইবে গোলাপ কুঁড়ি ঠোঁটে।
                          
হয়ত তোমায় আঁকতেও পারি ধুসর মরু প্রান্তরে-  
নগ্ন পায়ে ওড়না মাথায় ঊল্কি রবে বাজুতে,  
তুমি রইবে বসে উটের পিঠে
আমি হাঁটব তোমার পাশে, বেদুইন হয়ে সাদা পোশাকে,
ওড়নার ফাঁকে আড়চোখে চাইবে, অনুরাগী দৃষ্টিতে ।


কিম্বা যদি সবুজ বনানীর পাশে তোমায় আঁকি পোর্টেরেতে,  
কাজল কালো মৃগাক্ষী সযত্নে আঁকব আলতো তুলির ছোঁয়ায়,  
খোলা কেশে ভরিয়ে দেব মেঘরঙ,
দেব রেশমের উজ্জ্বলতা;
সবুজ পাতার ফাঁক থেকে গলে পড়া সোনা রোদ
ছড়িয়ে দেব তোমার শরীরে;  
যেমন করে অনুভব গুলো পৌঁছে যায় সুষুম্না শিখরে।
কপোলে দেব লাজরাঙ্গা আভা,
আসমানি শাড়ীর উদাসী আঁচলের ফাঁক গলে উঁকি দেবে যৌবনশ্রী,
বুকের ভাঁজে সোহাগে লুটাবে সোনালি পেণ্ডেন্ট,
নীল পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝর্নায় তুমি রইবে স্নানরতা,
আধখোলা অধরে দেব মোহময়ী পিপাসা।


কিম্বা ধর পূর্ণিমার রাতের ছবিতে,
তুমি রইবে বসে ভালবাসার প্রতীক্ষায়,  
উদাসী দৃষ্টিতে শুভ্র শাড়িতে, অভিমানিনী হয়ে;
আনত চিবুকে হেলান দিয়ে, ছাদের কোনে।


যখন তুমি আদিবাসী অষ্টাদশী
লাল মাটিতে আদুল গায়ে খাটো শাড়ি
দৃপ্ত পায়ে চলবে তুমি নদীর পানে,
মোনালিসা হারবে দেখ তোমার রূপে।
প্রার্থনা তাই ......
আসব আমি আবার ফিরে,
শিল্পী হয়ে
শুধু তোমারই জন্য।