-আজ পূর্ণিমার রাত!
বাইরে রুপালী চাঁদ যেনো তার সমস্ত আলোরাশি টুকু উজাড় করে দিয়েছে -
প্রকৃতির উপর; আর সেই আলোর মিছিলে ঝলসে উঠেছে চারিদিক।
দূর থেকে ওই আরো দূরে দুরান্তরে পাহারের চূড়া থেকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে-
নিশাচর প্রাণীদের আর্তনাদ;
বুকের ভেতরটা যেনো এক গভীর অরণ্য হয়ে সহসাই কেঁদে চলেছে নিরন্তর;
চোখজোড়া কেমন ঝাপসা হয়ে আসছে,
শূণ্যতা, কেবলই শূণ্যতার মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারিদিক;
তুমি যে বলেছিলে সেদিন, “কখনো যদি আমায় ভেবে মাঝরাতে ভেঙে যায় ঘুম,
ভেঙে যায় তোমার সেই আমিময় স্বপ্নের ঘোর,
তবে জেনে রেখো -
ওই যে জানালার বাইরে ওই দৃষ্টিসীমা অতিক্রমকারী আকাশনীলে,
হাতছানিতে পাবে খুঁজে আমায় তুমি সেখানেই।“
কই, প্রিয়তমা, তুমি তো ফিরে এলে না!!


“যদি কোনো এক রাতে শিউলির গন্ধে ভরে উঠে চারিদিক-
নিকষকালো ওই আঁধারে আমিময় স্মতিরা সব করে খেলা—
সুদূরে ওই পাহারের চূড়া থেকে ভেসে আসে নিশাচর প্রাণীদের আর্তনাদ,
তবে আমাকেই খুঁজে পাবে তুমি তাদের ভিড়ে।“
কিন্তু কই,প্রিয়তমা, তুমি তো ফিরে এলে না!!


তুমি বলেছিলে, তুমি নাকি ফিরে আসবে জোনাকির বেশে -
ফিরে আসবে কোনো এক মায়াবী রাতে –
আলোর আধার হয়ে- যখন সমস্ত বকুলের বন অন্ধকারে মুখ লুকোবে;
তুমি তো বলেছিলে, আমার রাতের অন্ধকার শহরে
আলোর ধারা হয়ে ঝরে পড়বে অঝোরে ।
কিন্তু প্রিয়তমা, তুমি তো ফিরেই এলে না!!
সেই তো আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলে!
আমাকে একা করে দিলে! একা, বড্ড একা ঠিক যেমন রাতের শহর একা!


রচনাকাল: ০৬/০৫/২০২০