দূর আযানের মধুর সুরে সবার ভাঙে ঘুম
নামায শেষে বাসায় বসে কোরান পড়ার ধুম।
শিমুল গাছের উপর দিয়ে দিনের আলো ফোটে
আঁকাবাঁকা পাকা পথে রাখাল চলে মাঠে ।
ভোরের আলোয় বকুল কুঁড়ায় পাড়ার মেয়ের দল
কলস কাঁখে পারুল বিবি আনতে ছোটে জল।


ঘন সবুজ গাছে ঘেরা আমার ছোট গ্রাম,
ফসল ভরা সবুজ মাঠে কিষাণ ঝরায় ঘাম।
কিষাণ বধূ ফাঁকটি পেলেই দাঁড়ায় গাছের তলে
ভাঙা পাখায় জুড়িয়ে দেবে ক্লান্ত হয়ে এলে।
গাছের ডালে দোয়েল শালিক মধুর সুরে ডাকে
পাড়ার ছেলে গুলতি খেলে তিন রাস্তার বাকে।
ডালে ডালে পাকা ফলে নুয়ে পড়ে গাছ
খালের জলে জেলের দলে ধরে নানান মাছ।


বেলা পড়ে এলে, পাড়ার সকল ছেলে পশ্চিমের মাঠে
একে একে জমতে থাকে, খেলায় মেতে ওঠে।
সাঁঝের বেলায় খেলা ফেলে সবাই ফেরে ঘরে
গুরু মশাইর বেতের ভঁয়ে চুপটি করে পড়ে।


ঝোপে-ঝারে; বন-বাদাড়ে জোনাক পোকার শোভা
বাঁশ বাগানের মাথার ওপর পূর্ণ চাঁদের আভা।
মাঝ মাজারে কদম গাছে একটি পাখি ডাকে
দাসের বাড়ির ঘন বনে শেয়ালেরা হাঁকে।


কাঁচা, পাকা ঘরে সবার শান্তি-সুখের বাস,
কষ্ট-ক্লেশ মাড়িয়ে সবাই খুশি বারোমাস।
ভেদাভেদ নাইত মোটেই মিলেমিশে থাকি,
বিপদ এলেই ঝাঁপিয়ে পরি দ্বিধাদ্বন্দ্ব রাখি।


স্বর-ব্যাঞ্জনে এঁকে দিলাম আমার গাঁয়ের ছবি
ইচ্ছে ছিল তুলে আনি সারা গাঁয়ের সবই।
সদ্য আঁকা ছবি খানা আমার ছোট গ্রাম
গ্রামটি আমার মির্জাপুরে; বানিয়ারা নাম।


             (২৪-০৬-২০১৪, মঙ্গলবার; দুপুর ০২.০০)
                                           মির্জাপুর, টাংগাইল।