ভোর না হতেই কালো মেঘে আকাশ গেছে ছেয়ে
এদিক থেকে সেদিক পানে ছুটসে ধেয়ে ধেয়ে।
বারির ফোটা আসছে নেমে আবসা রোদের ফাঁকে
এ যেন মেঘ দিচ্ছে সাড়া তৃষ্ণার্তের ডাকে।
বকের সারি ভেজা ডানায় উড়ছে কুলায় পানে
রাখাল ছেলে ফিরছে বাড়ি গরুর রশি টেনে।
কাকাবাবু ভেজা পথে চলছে মেয়ের বাড়ি
এক হাতে তার ভাঙা ছাতা আরেক হাতে হাড়ি।


মাছের মনে বিষম খুশি এদিক সেদিক ছোটে
কইগুলো সব পুকুর ছেড়ে ডাঙার পানে ওঠে।
পাশের ডোবায় ডুব সাঁতারে খেলছে ব্যাঙের ঝাঁক
থেকে থেকে উঠছে মাতি; ঘ্যাংড়-ঘ্যাংড় ডাক।


ইশকুলেতে যায়নি খোকা, দাদির কাছে বসি
রাজ কন্নার গল্প শুনে মনটা যে তার খুশি।
খুকু তখন খেলছে বসে  নিজের মতো করে
ভোজন নিয়ে ব্যস্ত সে যে পুতুল বিয়ের পরে।
অঝোর ধারায় ঝরছে বারি; ঝুমঝুমিয়ে বাজে
অলস দিবস কাটছে সবার যায়নি কেহ কাজে।
চড়ুইভাতির আয়োজনে পাড়ার সকল মেয়ে
কাজের ফাঁকে কেওবা ওঠে বৃষ্টির গান গেয়ে।


মালতী তলা ভরে গেছে সদ্য ঝরা ফুলে
ঘন ঘন দেয়ার মাঝে কেউ নেয়নি তুলে।
বিল গুলো সব ধবল চাদর, শাপলা ফুটে আছে
হিজল তলায় ফুলের মেলা সবাই দলে গেছে ।


বৃষ্টি ভেজা, হলুদ রাঙা কদম ফুলের ডালে
হলুদ পাখি দুলছে বসে ফোঁটার তালে তালে।
অবাক হয়ে চেয়ে আছে দূর গগনের পানে
মেঘের খেলা সাঙ্গ হবে, কখন কে তা জানে।


বৃষ্টি ভেজা পল্লী এমন পাইনি কোথাও আর
যেথায় থাকি মনটা ছোটে হেথায় বারংবার।
  
(২৯-০৬-২০১৪, রবিবার; রাত ০১.০০)