(পলিটিক্'ল নয়, পৌএটিক‍‌‍‍ থো'ট থেকে লিখা)

আমি কাঁদতে ভুলে গেছি—
ক্ষত-বিক্ষত, রক্তাক্ত  দৃশ্য দেখেও
আমি আর কাঁদতে পারিনা।
চোখের পানি শুঁকিয়ে গেছে অনেক আগেই;
কপোল বেয়ে আসে না আখি জল।
আজ আমি স্তম্ভিত, নিস্তব্ধ, বাক রুধ;
আমি আর কাঁদতে পারিনা।।

কেননা,
আমি দেখেছি ধ্বংস, রক্ত, বিভীষিকা।
পেয়েছি শব্দ গুলির, বিস্ফোরণের,
নিরীহ মানুষের ক্রন্দনের।
নাকে এসেছে বারুদ, পেট্রোল আর তাজা রক্তের গন্ধ
সদ্য ছোড়া গুলির ধোঁয়ার গন্ধও এড়ায়নি আমার নাক।
আজ আমার কাঁদতে ইচ্ছে হয়; কিন্তু কাঁদতে পারিনা।।

অনেক কেঁদেছি সেদিন,
যেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জঙ্গির গ্রেনেডে
রচিত হয়েছিল লাশের স্তুপ।
রমনার বটমূলে বোমার আঘাতে
হারিয়েছিল খাঁটি বাঙালির প্রাণ।

কেঁদেছি আমি সেদিনও,
যেদিন পলটনে কিছু শহীদের ওপর
পৈশাচিক নৃত্য করেছিল অছাত্রের দল।
সোনার বাংলার সোনার ছেলেদের রক্তে
সিক্ত হয়েছিল পিলখানার মাটি।
ডুকরে কেঁদেছিল দরবার হলের প্রতিটি দেয়াল।
সেদিন চোখের পানিতে সিক্ত হয়েছিল
আমার প্রকম্পিত পদ।।

সাগর-রুনি হত্যা কাঁদিয়েছিল পুরো জাতিকে,
মেঘের চোখের জল, আমার চোখের জল মিশে একাকার।
শীতলক্ষ্যায় সাতটি লাশ একে একে ভেসে ওঠা,
কেঁদেছিল ষোল কোটি বাংলাদেশির বিবেক।
সেদিন কি  কাঁদি নি আমি? অবশ্যই কেঁদেছি।।
আমি কাঁদতে ভুলে গেছি—
আজ আমার কাঁদতে আমার ইচ্ছে হয়;
কিন্তু কাঁদতে পারিনা।।

পেট্রোল বোমার আঘাতে শত মানুষের দহন,
বার্ন  ইউনিটে দগ্ধ মানুষের মিছিল, মাংস পচা গন্ধ,
নির্বিচারে গুলি, অনাকাঙ্খিত হমিসাইড,
বেওয়ারিশ কুকুরের মত পড়ে থাকা মানুষের লাশ।
এ সবই আমাকে কাঁদিয়েছে।

এরা কেওই হয়তো আমার কাছের ছিল না;
কিন্তু মানুষ তো ছিল।
হয়তো বাঙালি না হয় বাংলাদেশি।

আজ আমার কাঁদতে ইচ্ছে হয়; কিন্তু কাঁদতে পারিনা।
কারন, আমি কাঁদতে ভুলে গেছি।।
(১৪-১০-২০১৪; রাত ১২:১০)