একটি পরিবারে দশ ভাইবোন
সবাই ছিল কত যে আপন?
বাবার ছিল সামান্য আয়
তা দিয়ে তাদের দিন চলে যায়।
সকালবেলা ঘুম থেকে জেগে
কেউ কেউ উঠেনি মা যেত রেগে।
পান্তা ভাতের থালা হাতে
মরিচ পেয়াজ থাকত পাতে।
বাড়ির উঠানে  সবাই বসে
গল্প করতো সব রসেরসে।
কেউবা আবার মজা ছলে
ঝগড়া বাধার কথা বলে।
রান্না করার সময় হলে
যোগাড় করতো বোনেরা মিলে।
মাছ ধরতে যেত বড় ভাই
পিছে পিছে তার  ছোটরা যায়।
একজনের যদি হয় ব্যারাম
কান্নায় তাদের খাওয়া হারাম।
লেখাপড়ার অর্থের যোগান
দিতে গেলে পড়ে যেত টান।
পড়ালেখা বুঝতে না পারলে
বুঝায়ে দিত বড়রা মিলে।
বড়দের সবাই শ্রদ্ধা করে
ছোটদের রাখত অতি আদরে।
বলত আশেপাশের সবায়
এমন বন্ধন কমই দেখা যায়।
কাজে বড়রা দূরে চলে যায়
ছোটরা থাকতো ফেরার আশায়।
বড় ভাইয়েরা বাড়ি এলে
ছোটরা খুশি কিছু দিলে।
সময়ের স্রোতে বিবাহ করে
সবাই নিজের সংসার গড়ে।
সন্তান পরিজন হয় যে সবার
ভাইবোনেরা হয় তখন পর।
ভাইয়েরা সবাই বউয়ের কথায়
সামান্য ব্যপারে ঝগড়া বাধায়।
কেউ কারো নেয় না যে খোজ
ব্যস্ত সবাই করতে পেট ভোজ।
কারো কারো সম্পর্ক এমন দাঁড়ায়
সাপ-নেওলের ঝগড়া যেমন হয়।
বাংলার হাজারো যৌথ পরিবার
এভাবেই ভেঙ্গে হয় চুরমার।
অন্তরে বড় আঘাত লাগে
যখন অতীত স্মৃতি জাগে।