সবুজ শ্যমল পল্লব ঘেরা
ছোট্ট গ্রাম জয়নগর।
যেথায় কেটেছে  আমার শৈশব
বাল্যকাল আর কৈশোর।
শীতের সকালে রোদ পোহাতে
যেতাম ফসলি মাঠে।
বিকেলে মাততাম গল্প গুজবে
সময় যেত কেটে।
কাকেশ্বরী নদীতে মোরা
সাতাঁর কেটেছি দলবেঁধে।
মাটির চুলায় নাড়া জালিয়ে
কালাই খেয়েছি রেধে।
বর্ষাকালে বড়শী লইয়া
ধরেছি  নদীর মাছ।
বড় একটা ধরিলে বাইম
আনন্দে করিতাম নাচ।
বিকাল হইলে সবাই জুটিতাম
স্লুইস গেটের মাঠে।
কত গল্প চায় না হইতে শেষ
সূর্য নামিত পাটে।
পলিথিন ব্যাগে বই খাতা ভরে
যাইতাম স্কুলে।
পড়া না পারিলে বেতের বারি
গেছ কি সবাই ভুলে।
কত যে খেলেছি ডাংগুলি
আর দাড়িয়াবান্দা খেলা।
মনের আনন্দে খেলিতে খেলিতে
কাটিয়া যাইত বেলা।
স্বপ্নের মাঝে আজও আমি
সেসময় ফিরে যাই।
ভাবিতে আবেগে শিহরণ জাগে
কত যে সুখ পাই।
সেকথা আমি পারিব না বুঝাতে
এখনও ইচ্ছে করে।
ফিরে যাই সেই সোনালী অতীতে
পল্লী মায়ের ঘরে।