পাথরের ঠুকাঠুকিতে
আগুনের উদ্ভাব,
তখন থেকে শুরু হলো
বিজ্ঞানের প্রভাব।
পৃথিবীর আদিতে সব
মানুষ ছিল বন্য,
কাপড় আবিষ্কার করলো তারা,
শরীর ঢাকার কার জন্য।
লোহার তৈরি সরঞ্জাম
করলো উদ্ভাবন,
মানুষের প্রয়োজনে ব্যবহার
করছে আজীবন।
গ্রিক সভ্যতা করলো
শিক্ষার সমৃদ্ধি,
বিকশিত হলো লোকের
বিদ্যা ও বুদ্ধি।
হাজার লোকে কষ্ট পায়
নানাবিধ রোগে,
জীবন নাশ হয় কারো
রোগে ভুগে ভুগে।
পরিস্থিতি দেখে কেউ কেউ
প্রয়োগ করলো জ্ঞান,
ক্রমবিকাশ ঘটলো এবার
চিকিৎসা বিজ্ঞান।
ষোড়শ শতাব্দীতে যখন
শিল্প বিপ্লব ঘটে,
লোকে ভাবলো, এবার নতুন
জগৎ পেলাম বটে।
কিন্তু তারা জানে না, এর
ওখানেই শেষ নয়,
নতুন নতুন আবিষ্কার, লোকের
মন করেছে জয়।
বিদ্যুৎ আবিষ্কার বিজ্ঞানের
এক অনন্য অবদান,
ইহার দ্রুত প্রবাহেই পায়
সকল যন্ত্র প্রাণ।
গগণ জুড়ে চলছে যে আজ
শব্দের গতির রথ,
গন্তব্যস্থল যত দুরই হোক
এক মূহুর্তের পথ।
কম্পিউটারের কথা আমি
কি বলিব আর?
ইহার অবদানের কাছে
সব মেনেছে হার।
বিদ্যুৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ
সেটা আর এক বিস্ময়,
বিনা তারে, সমীকরনে
দুই প্রান্ত যুক্ত হয়।
স্বজনেরা যত দুরেই থাকুক
দেখছি তাদের মুখ,
ছবি দেখে ও কথা বলে
পাচ্ছি মোরা সুখ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর
পাচ্ছি এখন আগে
নিরাপদ অবস্থানে থাকতে তাই
অল্প সময় লাগে।
বিজ্ঞানের আজ এতই প্রসার,
চাঁদে জমাচ্ছে পাড়ি,
কেউ কেউ আবার বানাতে চায়
মঙ্গল গ্রহে বাড়ি।
নতুন উদ্ভাবনের ধারা
অনন্তকাল থাকবে,
আবিষ্কারের স্রোতে লোকের
নতুন অনুভূতি জাগবে।
সব জিনিসই সৃষ্টি, মানুষের
কল্যাণের জন্য,
এসব ব্যবহার করে তাই,
জগৎ হয়েছে ধন্য।
কিন্তু দুঃখ লাগে, কিছু
দুষ্ট লোকের বংশ,
ইহার অপব্যবহারে তারা
জগৎ করছে ধ্বংস।
এস সবাই পণ করি,
বিজ্ঞানের সব আবিষ্কার,
মন্দ কাজে না লাগিয়ে, করি
ভাল কাজে ব্যবহার।