বসন্তের বিকালে বারান্দায় দাঁড়িয়ে
ভাবি আমি মনে মনে,
কতদিন আমি যাই নাক বাড়ি,
ভাবতেই মন কাঁদে ক্ষণেক্ষণে।
মনে পড়ে যায় অতীতের স্মৃতি,
ছবি ভাসে কল্পনায়,
কলসি লইয়া সাতার কাটিতাম
আর উঠিতাম নায়।
ডুব দিয়ে লুকোচুরি খেলে
কত যে পেতাম মজা,
বাড়ি ফিরতেই মায়ের বকুনি
আর বাবায় দিত সাজা।
চাচাতো ভাই বোন আর প্রতিবেশী
ছেলে মেয়েরা মিলে,
সময় কাটাতাম দারিয়াবান্দা,
বউচি আর পুতুল খেলে।
মাঝে মাঝেই ঝগড়া করিতাম
সামান্য বেপার নিয়ে,
অভিমান বেশিক্ষণ থাকিত না,
আবার মিল হইতাম গিয়ে।
দলবেঁধে মোরা ঘুরে বেড়াতাম
ঝড়ে কুড়াতাম আম,
জোলাপুটি নামের বনভোজনে
কত যে থাকিত কাম।
পড়া না হইলে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে
আড্ডায় মাতিতাম,
স্যার টের পেয়ে বেতের বাড়িতে
উঠিয়ে ফেলত চাম।
বিকালবেলা বাড়ির উঠানে
চুল বাঁধিতে বসে,
সত্যমিথ্যা আজগুবি সব গল্প
করিতাম রস রসে।
দুই টাকা দিয়ে লাল ফিতা কিনে
বেনি করিতাম চুল,
বাগান থেকে চুরি করে মোরা
খোপায় বাঁধিতাম ফুল।
ফাগুন মাসে বড়ই পাড়িতে
ছুড়িতাম মাটির ঢিলে,
ধনেপাতা মরিচে বড়ই মাখিয়ে
খেতাম সবাই মিলে।
সেইসব স্মৃতি ভুলিতে পারিনা,
মনের কোঠায় ভাসে,
মা আমার আজও পথ চেয়ে থাকে,
এই বুঝি খুকি আসে।