প্রথমবারের মতো একটি সত্যিকার ভালো বই পড়ার সঙ্গে গভীর হৃদয় পুরানো বন্ধুর সাক্ষাৎ পাওয়ারকে তুলনা করা চলে।পড়া জিনিস আবার পড়া মানে পুরানো বন্ধুর সঙ্গে আবার সাক্ষাৎ হওয়া। ভালো বই পড়ে শেষ করা মানে পুরানো বন্ধুর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে- আবার কবে দেখা হবে কে জানে।
উল্লিখিত  লাইনগুলি  মনে করিয়ে দেয় বইমেলার কথা। অপেক্ষায় থাকি ঐ কয়েকটি দিনের জন্য । যাবতীয় ভারি ভারি চিন্তাভাবনা ছেড়ে চলে আসি বইমেলাতে। ক্ষণিকের জন্য মুক্তি পেতে ।যারা বই পড়তে ভালোবাসে তাদের কাছে বইমেলা এক বিশাল প্রাপ্তি।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার দৌরা্ত্ম্যের প্রভাব ছেলেমেয়েদের এমনভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে যে, তাদের বই পড়ার মানসিকতার কিছুটা ঘাটতি রয়ে গেছে।
তবুও আশা রাখবো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মতো বইও  তাদের কাছে নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠবে।পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকাশকগনদেরও চ্যালেঞ্জ নিতে হবে – বইকে  তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়া, সংবাদপত্রকেও বই সম্পর্কে সমাজে সকল স্তরের মানুষের চিন্তাভাবনার গভীরভাবে আলোড়ন তুলতে হবে,তাহলেই বই-এর সার্থকতা পাওয়া যাবে।
বই সম্পর্কে বিখ্যাত সাহিত্যিক গর্কির ভাষায় লিখতে হয়-
“জীবনের যাত্রাপথে মানুষ যত বিস্ময় করেছে আর ভবিষতে করবে- তারমধ্যে সবচেয়ে বড়ো বিস্ময় আর সব থেকে নিপুন সৃষ্টি হলো –বই”