আমি বসন্ত -
আমি এসেছি আগের বারের মতোই,
এসে দেখি যে পৃথিবীকে তারপর থেকে
শুরু করবার কথা ছিল, তাকে আবার নতুন করেই
শুরু করতে হবে,আমি কি তা পারব?
যে সমুদ্রের মতোই নিঃশ্চুপ থেকে কেবল
ভালোবাসার আঙ্গিকে ঘৃনার পাহাড়কে ক্ষয়ীভূত করেছিল, যে নিশাচর -সূর্যের বেশে এসে হিংসার জলন্ত
বাতাসকে নিভিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখত । যার এক
কথায় বারির ছোঁয়ার স্পষ্টতাই নয়, পাপহীন মনের গভীরে আরোও গভীরে তলিয়ে যেতে কোনো দ্বিধা ছিল না, সেই কিশোরীকে পাওয়া গেলো জঙ্গলের বেশে
পাতার  স্তুপের আকারে -সম্মানহীনা, আমারই চোখের সামনে ।
তবে কিসের বসন্তে কিসের কী?


ঠান্ডা গরমের মাঝখানে দেবতার সন্তানরা যখন
হিম হয়ে আসা শীতের পরশ্ আর বৃষ্টির জলে
ধুয়ে মুছে সাফ্, আমি তখনও আসিনি, এসেছি
আরোও পরে।এসে দেখেছি সেই দিন আর নেই,
এখন আর কোনো স্ত্রী স্বামীর আসার অপেক্ষায়
বসে থাকেনা, থাকে আসার আশায়, বিষফলের মতো মূর্ত জিনিসও যখন অমৃত মনে হয় তখনও আমার
আসা উচিত ছিল,
আমি আসিনি, এসেছি আরও পরে ।


কাদা জেলের পাকে যখন হাবুডুবু খেতে খেতে উন্মাদ
জোঁকের হাতে উহাদের মস্তিষ্ক,
সামাজিক দাড়িপাল্লায় যখন তারা খুবই নগন্য,
একরাশ বিশ্বাসহীন হতাশা আকাশ থেকে মেঘ,
মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসই, যখন হঠাৎ দুঃসংবাদ
পাওয়ার পর নিস্তেজ মুখ আরও নিস্তেজ হয়ে যায়,
তখনও আমার আসা উচিত ছিল, এসেছি, কিন্তু
আরও অনেক পরে,
কারন ফুল ফুটুক না ফুটুক আমি আর বসন্ত নই ।।