দেখছি দু'চোখ ভরে পল্লী-প্রকৃতির অপরূপ শোভা!
কুঁড়েঘর,পুঁই মাচা,নদী, বিল, পুষ্করিনী,এঁদো ডোবা;
বাঁশ বন,ঝোপ-ঝাড়,খড়ো-চালে লকলকে লাউ-লতা।
প্রকৃতি এখানে কথা বলে,কান পেতে শোনা যায় কথা;
হাঁসের সাঁতার দীঘি জলে,বাসন মাজে বধূটি ঘাটে,
পানকৌটি ডুব দ্যায় জলে,বেণু বাজে,ধেনু চরে মাঠে।
প্রকৃতিরএই রূপ দেখে কী আনন্দ তা বুঝিনি  আগে!    
পল্লী-পথিক পথ চলেছি,দেখছি যা তাই ভালো লাগে;
পল্লী-প্রকৃতির মাঠ-ঘাট-বাট, খাল-বিল-নদী-বন ,
রক্তে আমার নেশা ধরায়,পাগল করে আমার মন।
পল্লী-বাঙলার ঘাস-মাটিতেই মায়ের পরশ পাই ;
বর্ষায় মেঘ ডাকলে ময়ূর নাচে,এই মাটিতে ভাই।
এই মাটিতেই মেঘের ডাকে মেঘ-মল্লার রাগ শুনি ;
কতো পাখি,বাবুই,দোয়েল,বউ কথা কও ,টুনটুনি।
ফিঙে নাচে গাছে-কোকিলের ডাক মনে  দ্যায় দোলা!
পাখিদের এই ডাক শুনে মন হয় যে আপন ভোলা।
যতোই দেখি প্রকৃতির রূপ,ততোই মুগ্ধ হয়ে যাই!
আমারপল্লী মাকেআমি প্রকৃতি তোর মাঝে খুঁজে পাই।
                  ---0---