বাঁকুড়া জেলার রাঙা মাটির দেশে এক অখ্যাত গ্রাম রাধামাধবপুর।
জন্ম, বেড়ে ওঠা, কৈশোর, যৌবন সবকিছুরই সাক্ষী ঐ ভালোলাগা
গ্রামটি। প্রাথমিক,মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডিটাও ঐ গ্রামকে ঘিরেই। স্কুলজীবন শেষে পা বাড়াতে হয় জেলার সদর শহর বাঁকুড়াতে। ঐ প্রথম শহরে পদার্পণ এবং ডাক্তারি শিক্ষা শুরু তা প্রায় সাড়ে চার
দশক আগে। শিক্ষার তো আর শেষ থাকে না। তবুও আমার 'বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ' থেকে ডাক্তারি শিক্ষার শেষে দেশের গ্রামীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে একটু তুলে ধরার নিমিত্তে বর্ধমান জেলার এক আধাশহর অন্ডালে ঢুঁ মারা। ঐ রেলশহরকে ভালোবেসেই সেখানেই থিতু হওয়া।
       স্কুলজীবন থেকেই সাহিত্যকে ভালোলাগা ও ভালোবাসা। ক্ষমতাহীন দুঃসাহসী হয়ে ছেঁড়া খাতায় কলমের কিছু আঁচড় কাঁটার চেষ্টা। কিছু আঁচড়কে কবিতা বলে চালাতে গিয়ে অপমানিত  হয়ে ফিরে আসা। নাছোড়বান্দা হয়ে ভালোবেসে মাতৃভাষার চর্চা করতে করতে খোঁড়াতে খোঁড়াতে যেখানে সেখানে ঢুঁকে পড়া। আজ থেকে আট মাস আগে যেমন এখানে 'বাংলা কবিতা ডট কম'-এ। ছাইপাঁশ আঁচড়ের আজ একশত পঁচিশতম সাক্ষী। কারুর ভাল লাগুক বা না লাগুক আমার কিন্তু ভালো লাগে। আর তাই তো প্রতিদিনই নেশার মত একবার অন্ততঃ একবার ' বাংলা কবিতা ডট কম'-র পাতায় যাওয়া চাই-ই চাই।
      গত সাত বছর ধরে কোলকাতা বইমেলার নিয়মিত এক যাত্রী। বিগত তিন বছরে আমার তিনখানা কাব্যগ্রন্থ 'অপর্ণা প্রকাশনী' থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এবছরেও একখানা কাব্যগ্রন্থ ঐ একই প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে। সকলকে জানাই সাদর আমন্ত্রন।
    শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সহ---
           ডাঃ সন্তোষ কুমার মন্ডল।