প্রথম যেদিন দেখেছিলাম তোমায় সেই শারদপ্রাতে,
হাল্কা পাড়ের হলদে আভার শাড়িতে,
প্রিয়তমা, সত্যি বলছি, রিনিঝিনি বেজেছিল হৃদয় আমার
তোমাদের ওই গঙ্গাপাড়ের পূজোর বাড়িতে।


মহাদশমীর সকাল ছিল বোধহয়, ধূসর আজ মলিন ওই স্মৃতি
এখন ঝাপসা বোধহয় তোমার ওই চোখের হাসি,
প্রিয়তমা, আজও স্পষ্ট তোমার ওই অশ্রু-বারি-জল
জানি, আমৃত্যু হবে না কখনো বাসি,


কতো বাধা, কতো অন্তরায় অতিক্রম করে শেষে,
প্রাণ পেয়েছিলো তোমার স্পর্শে আমার প্রথম প্রেমের চিঠি,
প্রিয়তমা, কত সুর ছিল, ছিল কত গান, কভু নিঃশব্দ - নিভৃত মম দুটি মন,
দেহে এক গভীর নিবিড় উষ্ণ আবেশের ঘোর, মন চাইত না ছুটি।


কেটেছিল কত বিনিদ্র রজনী, যদি হারিয়ে ফেলি তোমার ওই স্পর্শাবেশ,
আজও কতো বিনিদ্র রজনী, যাতে তোমায় চোখে না হারাই।
প্রিয়তমা, ইচ্ছা করে ছুটে যেতে, যেখানে তোমার শাড়ির আঁচলের ঘ্রান
আজ অসহায়, তবু কোন পিছুটানে সেই সোনালী অতীতে ফিরে যেতে চাই।


স্মৃতির কুঠুরিতে উঁকি দিয়ে পাই শুধুই দলা পাকানো কষ্ট আর দীর্ঘশ্বাস,
পারিনি আমি, হেরে গেছে তোমারও ওই মন, শুধুই জীবন অতিক্রান্ত।
হায় প্রিয়তমা, বয়সের ভারে নুয়েছে শরীর, গিলেছি গরল, আছি মুক্তির প্রতীক্ষায়,
জানি আছো হয়ত কোথাও অপেক্ষারত, তোমার দু নয়ন হয়নি আজও ক্লান্ত।