দূর আকাশের ওই তারাদের ভিড়ে,
ছিলাম কোথাও লুকিয়ে,
চাঁদ, সূর্যের মায়াবী আলোয় ছিলাম ঘেরা,
যাই নি তাই হারিয়ে ।।
চাঁদমামা যখন খবর দিল হে প্রভু,
যেতে হবে কোন সে অচিনপুরে,
ঠোঁট ফুলিয়ে কেঁদেছিলাম ভয়ে,
চাই নি তো যেতে তাদের ছেড়ে।
ছুটে গিয়েছিলাম তাই তোমার কাছে,
কেন মিছে আমায় দূরে পাঠাও ?
এখানেই তো বেশ আছি আমি,
কেন শুধু তুমি যন্ত্রণা বাড়াও ?
অভয়বাণী দিলে প্রভু, বলে আমায়,
যেতে হবেই এবার তোকে,
অনেক দূরে তোরই অপেক্ষায়,
বসে আছে কেউ সেই কবে থেকে।।
আশ্চর্য আমি জিজ্ঞাসিলাম তোমায়,
আমার অপেক্ষাতেও কেউ আছে নাকি?
পূর্বজন্মের ঋণতো সেই কবেই শোধ করেছি,
নেইতো আর কোনও ধার-বাকী ।।
যেতে বলেছ যখন বেশ ভালো জানি,
ছেড়ে যেতে আমাকে হবে এথা,
শুধু বলে বলে দাও আজ কানে কানে,
আপন বলে কাউকে কি পাব সেথা ।।
তোমার ভাষা বুঝি আমি শুধু,
আর আমার হাসি বোঝ শুধু তুমি,
কেউ কি বুঝবে আমার কথা সেথায়,
কাকেই বা কি বলে ডাকব আমি ?
প্রভু হেসে বললে, ওরে বোকা ভ্রূণ,
ভাবিস না তুই কোনও কিছুই,
ভালবাসার উষ্ণতায় ঢেকে রাখবেন উনি,
যখন থাকবি তার জঠরে তুই।
সবার সেরা, হবে সে তোর আপনজন,
আর তোর সুখ-দুখের সাথীও,
নিজের দেহরস দিয়ে পালবে তোকে,
বুঝবে তোর সব না বলা কথাও ।।
জানবি সে তোর প্রভুর চেয়েও বড়ো,
ইহ জগতে আর কোথাও পাবি না ।
জগতের সবচেয়ে মিষ্টি নামে পরিচিত যিনি,
মধুর স্বরে শুধু ডাকবি তাকে “ মা ”