হে কবি, যুগে যুগে আমায় তুমি করেছ প্রাণের প্রেরণা,
নারীরই সৌন্দর্যসুধায় জপেছ তোমার কবিতার সাধনা ।
শতরূপে ভালোবাসার চিকন দেহে উড়েছ রূপের উপমা,
গড়েছ তোরণ, ভেঙ্গেছ বাঁধন এ মনের যতো বেদনা ||


দিয়েছ নতুন জন্ম আমায় আবার নানাভাবে নানারূপের,
শিল্পীর ন্যায় শিল্পকলায়, পান করিয়েছ সুধা কোকনদের।
হয়েছ মহান, উৎকর্ষতায়, তবুওতো অনিরসিত এই যাতনা
হাজার বছরের কল্পিত কামনাতেও বুঝবে না প্রসব যন্ত্রণা ||


==============


হে নারী, যুগে যুগে হয়েছ তুমি আমারই কবিতার আধার,
স্বীকার করি তা, পূজিও তোমায়, তাই মনে নাই লাজ আর।
তোমার সৌন্দর্য-সুধার ধারক আমি, বইয়েছি তা কালে কালে,
তোমার বেদনায় সমব্যাথী, কবিতায় আমারই অশ্রু ঝরে পড়ে ||


জানি তোমার বলিদানের ইতিহাস, গাই তোমারই জয়গাথা,
মানি তোমার কোমল হৃদয়ের ওই ভালবাসার রক্তিম ব্যথা।
বহু বিনিদ্র রজনী ঘেঁটে, দিই যখনই কবিতাকে তার প্রাণ সখা,
তাই প্রতি কবিতার জন্মেই অনুভব করি, তোমারই প্রসব যন্ত্রণা ||


কবি ও নারী, মুদ্রারই এপিঠ-ওপিঠ, শুধুই ভালবাসা ও যাতনা।  
মিথোজীবী বাস্তুতন্ত্রে, চিরকাল অমলিন আমাদের প্রসব যন্ত্রণা ||