বুইঝলেন বাবু, ছিলাটার আমার
কাঁইদতে কাঁইদতে দিন যায়,
কত বুঝাইন না বুঝায় উহার মা,
তবু আমার ন্যাঙ্গট ধরে রয় ।
উহা এমনিতে খুব সেয়ানা বটে,
কিন্তু আমার পুকেট তো ঠনঠনা,
পইড়াটা তাই ঘরেই করে ছিলা,
তবুও উহার জ্ঞাইনের নাড়ী টনটনা ।।


সব জাইনে, আর সব বুইঝে উহা,
জানো বাবু এই পাঁছ বুছর বয়সে
তবু ইচ্ছা কইরে জ্বালায় মা টারে,
কখনো আদর কইরে কাছে আসে।
মাথাটা ঠিক আগ্যুন হইলে পরে,
কই বৌ রে হইয়ে আমি আনমনা,
পোলা তুমার কিছু জানুক না জানুক,
উহার কিন্তু জ্ঞাইনের নাড়ী টনটনা ।।


দেইখতে দেইখতে দিন কেইটে যায়,
উহার পুড়াশুনার দিকে কোন মন নাই,
বইলতে গিলে বইলবে চোখ পাকিয়ে,
কিন ? পুড়াশুনা ছাড়া কি আর কাম নাই ?
আমি সব শিইখ্যে গেছি এরই মইধ্যে,
আমায় নিয়ে চিন্তা আর কইর না,
বুড্ঢা হইলে খাওয়াইবো তুমাদের,
জানি , আমার জ্ঞাইনের নাড়ী টনটনা ।।


মইনের দুঃখে তাই আমাবস্যার রাইতে,
চোলাই গিইলে খানিক এইলাম পেইটে,
অইন্ধকারে দিশা না পেইয়ে বৌকে ছাড়ি,
শালীর ডাগর বুকে মুখটা দিলাম ঘইষটে।
হঠাৎ পিছন থেইক্যে ছিলা বইলে ওঠে
বাব্বা,  ইটো মাসি বটে, ইটা তো মা না,
হুঁশ পেইয়ে ভুল ভাঙ্গে আমার, বুঝি তাই
ছিলাটার সত্যি জ্ঞাইনের নাড়ী বড় টনটনা ।।