বাবা মা'র আশীর্বাদে,
                হলাম ইঞ্জিনীয়ার,
চাকরী নিলাম তাই
                ঐ বালী পুরসভার।
জমি ও বাড়ীর কাজ,
                নিশিদিন কলে পিষি,
প্রমোটারদের চাপে
                 নিত্য বিনিদ্রিত নিশি ।
ভেবে ভেবে রাস্তা এক
                  বার করলাম তাই,
ঘুষ খেয়ে প্ল্যানগুলো
                  পাশ করাবই ভাই ।।


যেমন ভাবা তেমন
                 কাজ শুরু হল করা,
এভাবে বছর বারো
                 চাকরীটা হল সারা ।
আজ আমি বড়লোক
                 পুষতে পারি হাতিও,
বুঝিনি যে সাথে সাথে
                 করেছি নিজ ক্ষতিও।
বাবা মাকে ছেড়ে তাই
                 নতুন বাড়িতে উঠি,
দুর্নিতীদমন শাখায় কেউ  
                 করল আমার কাঠি ।।


পুলিশ এল, গোয়েন্দা
                  এল আমার বাড়িতে,
লোকভরা স্বচ্ছ হাটে
                  করল ছেঁদা হাড়িতে।
দেয়াল, মেঝে, কমোড
                   ভর্তি টাকার কামাল,
গুনে গুনে পেয়ে গেল
                   একুশ কোটি বামাল ।
পুলিশ অবাক জানি
                   অবাক হবে তুমিও,
এত টাকা জমেছে যে
                   জানতাম না আমিও ।।


কোমরে যদিও দড়ি,
                  পড়েই গেলাম থানা,
তবুও আমার দোষ
                  খুঁজতে করব মানা  ।
চুরি করা মহা পূণ্য,
                  যদি সেও পেটে সয়,
এ বীজমন্ত্র জপে তো
                  সমাজ সচল রয় ।
সবাই ছিঃ করে তবু
                  নেইকো আমার লজ্জা,
সিস্টেমটা জীর্ণ অতি,
                   ঘুণে জরাজীর্ণ মজ্জা ।।


**************************************


** এক অতি সাম্প্রতিক খবরে প্রকাশ যে এক পুরসভার ইঞ্জীনীয়ারের বাড়ি থেকে দুর্নীতিদমন শাখার অফিসারেরা রেড করে বাড়ির দেওয়াল, সিলিং, কমোড, মেঝে থেকে প্রায় ২১ কোটি নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে, যা কবির মনকে নাড়া দিয়ে যায়।


এটা শুধু কোনও একজনের দোষ নয়, এটা এই সিস্টেমের অস্থিমজ্জার পরতে পরতে ঢুকে গেছে।  সবার ভাবার সময় এসেছে যে সাধারণ মানুষ আজ কোনদিকে যাবে।