তোমাকে শুধু প্রেমের একটি গান শোনাবো বলে
এই বনান্তরে ডেকেছিলাম সবুজ অন্তরাল
আমি জানি সর্বনাশ সেও এদিকে অবহেলিত
অথচ ‘যদি’ শব্দটি আমাকে তাড়িয়ে বেরিয়েছে


ভোরের একটি শিশির বিন্দুতে বিম্বিত সাগর
আমি চিরজীবন তোমার কাছে কৃতজ্ঞ কেননা
একমাত্র তুমই আমাকে হাতছানি দাও আজো
আমি বেঁচে থাকি , বেঁচে থাকি , অথচ ক্ষয়িষ্ণু অন্তর


প্রথম সাগর দেখা মানে সাগরের কাছে হার
এবং সর্বস্ব বিসর্জনে আত্মসমর্পণ প্রথম
বিরল স্বপ্নে সব সাজিয়ে রেখেছি হৃদি গঙ্গায়ে
তোমাকে হারাবো জানি, হারাবো তবু মধুময় রাতে


মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমার এই হা শূন্য পথ
তোমার হাত ধরেই এসেছিল গুম্ফার আলোকে
সামান্য প্রদীপটি কিন্তু আজও নির্লিপ্ত , জ্বলে আছে
আমাদের অঙ্গিকার , সাদাকালো প্রেম , বাঁকা চাঁদ


ফিরে যেতে হবে সে জানি, খালি হাত, ভবিতব্য
তবু দুর্গোৎসব কি করে দূরে থাকি, অনিয়মিত
তাহলেও আমার নির্লিপ্ত থাকা আর হয়ে ওঠেনা
প্রাগৈতিহাসিক মাটি খুঁড়ে বেরিয়ে আসে , বুকে


তোমার ফিরে তাকানোর মত সুন্দর , সম্ভবত
এ পৃথিবীতে আর কিছু নেই, জনমত এমনি
আমিও দরিদ্র দরদী তাই বড়মায়া জন্মেছিল
সদ্যোজাত বিড়াল ছানাটির প্রতি, বিরহ মমতায়


গগন পথের মাঝদিয়ে উড়ে যাবে পরিপূর্ণা মেয়ে
একদিন মেঘের মত চোখ আর চোখের মত
নীল, ভোরের বিষণ্ণ শুকতারার জন্য , শুধু
প্রেমের একটি মাত্র গান শোনাতে চেয়ে
                                          বনান্তরে ৷