ওরে বাঁশিওয়ালা, ওরে বাঁশিওয়ালা
তোর বাঁশি বাজাস না, আমার বাড়ির কাছে
তোর বাঁশির মধুর সুর শুনে
লোকে আমায় যদি মন্দ বলে পাছে!


ওরে বাঁশিওয়ালা, ওরে বাঁশিওয়ালা
বাজাস না বাঁশি; আনতে গেলে হিজল ফুল
তোকে দেখতে পেলে হিজল ডালে
লোকে তখন বুঝতেও পারে আমায় ভুল!


ওরে বাঁশিওয়ালা, ওরে বাঁশিওয়ালা
আর বাজাস না রে বাঁশি বাজাস না না না
আমি বুঝিও না এতো বেশি ছলাকলা
আমি গ্রাম্য মেয়ে আমার অনেক আছে মানা!


ওরে বাঁশিওয়ালা, ওরে বাঁশিওয়ালা
আমি নাইতে গেলে বাজাস না বাঁশি নদীর ধারে
আমায় যদি লোকে মন্দ কথা বলে
লজ্জায় আমি তখন মুখটি দেখাবো রে কারে?


ওরে বাঁশিওয়ালা, ওরে বাঁশিওয়ালা
আর বাজাস না বাঁশি, তুই চাঁদনী রাতে
তোর বাঁশির মধুর সুর শুনে
ঘুম আসেনা যে আমার দু’টি নয়ন পাতে।