ও মেঘবালিকা রে তুই যাস কোথায় ধীরে ধীরে
একবার এসে পান খেয়ে যা না আমারই নীড়ে।
আমার কুঁড়েঘরটি হরিৎ বর্ণ বনজঙ্গলে ঘেরা
ঘরখানা ছাউনি হীন আছে কঞ্চি বাঁশের বেড়া।
ঘরে বসে চাঁদের সাথে কই মনের যতো কথা
পাশে বসে চাঁদের গল্প শোনে সকল তরুলতা।


ও মেঘবালিকা রে ক্লান্ত হলে নে একটু জিরে
আয় ভূমিতে নেমে আয় বসি নদীর ঐ তীরে।
নদীর তটে বসে আয় না গাই ভাটিয়ালি গান
চেয়ে দেখি পানকৌড়িরা কেমনে করে স্নান।
নদীর নামটি বৌলাই নদী দুই পাড়ে তার গাঁ
নদীর পাড়ে করচগাছের ডালে বসে বকের ছা।


ও মেঘবালিকা রে তুই যাস কোথায় ধীরে ধীরে
এতো বলছি তোরে একটু চাস না ওদিক ফিরে।
তুই আয় না মাটিতে নেমে শোন একটু থেমে
জানিস? আমি যে ডুবে আছি প্রকৃতির প্রেমে!
বৌলাই নদী চলে বেঁকে দিয়ে দুই হাওরের মাঝ
শনি ও মাটিয়ান হাওর যেন রবিশস্যের রাজ।


ও মেঘবালিকা, আমি ভালবাসি দেশের মাটিরে
আমার প্রাণের চেয়েও ভালবাসি এই ভাটিরে।
টাঙ্গুয়ার রূপের কথা কি বলবো আর তোরে
বিলের মাঝে অতিথি পাখি বসছে এসে উড়ে।
হাওরের মাছগুলো আনন্দে করছে নাচানাচি
আমি প্রকৃতির লীলাখেলার মাঝেই আছি বাঁচি।