বিগত দিনে শুনেছি কতো ডাহুকের ডাক
সন্ধ্যে নেমে এলে একসুরে শিয়ালের হাক।


বিলে দেখেছি কত অতিথি পাখির মিছিল
নদীতে পানকৌড়ি বক-মাছরাঙা-গাংচিল।


মাঠে রাখালের গ্রামীণ চমকপ্রদ খেলা
ফাল্গুন-চৈইতে জাতি-ধর্ম ঐকতান মেলা।


দেখেছি গাই দোহানোর কতো কলাকৌশল
গোয়ালা বিক্রি করতো দুধ,না মিশিয়ে জল।


আষাঢ় মাসে নাইয়রির ফুর্তি হইচই
সবাই সুখে হাসতো, খেলতো, একত্ব হই।


মামা বাড়িতে আম-কাঁঠাল খাওয়ার ধুম
ঠাকুদ্দা পুঁথি পড়তো তাড়িয়ে চোখের ঘুম।


মা-দাদি-ফুফুরা মিলে বানাতো পিঠা-পায়েস
বাকি সব বসে থাকতো খেতে করে আয়েশ।


বৈশাখ মাসে নদীতে ব্যাপারী নৌকার সারি
নৌকা ভরা তেঁতুল ও খেজুর গুড়ের হাঁড়ি।

বোশেখী ঝড়ে আকাশ চমকিয়ে দিলে ডাক
মাছগুলো আনন্দে স্থলে আসতো বেঁধে ঝাঁক।


ভাটি দেশে আর নেই সেই সোনালী অতীত
আর নেই সেই সুখ নেই ঐক্য, নেই নীত।