ইসলামের নামধারী, কিছু ভুঁইফোড় মোল্লা
কাফের কাফের বলে, হয়ে দেওয়ানা ।
মোল্লা গিরি করি আমি, পূর্ব পুরুষের পাওনা
দাদা ওস্তাদ সবাই ছিল, ফতোয়ার কারখানা ।
ইসলামের হেফাজতে, তাই দিলাম ফতোয়া
আমি বাদে, ওরা সব মালাউনের বাচ্চা ।


এদের পূর্বসূরি ২৫০ বছর পূর্বে, দিল ফতোয়া
হারাম শিক্ষা করা, সব বিজাতিদের ভাষা ।
অথচ সকল ভাষা, যে মহান আল্লাহর দান
সেটা ও জানতো না এই অন্ধ ধার্মিকের দল ।
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছিল, আধুনিক শিক্ষায়
এরা তখন মুসলিমদের, রাখতো নানা কুমন্ত্রণায় ।
এক সময় এদের ফতোয়াতে, বন্ধ হয় জুম্মা
দুর্বল কারণ দেখাতো, ব্রিটিশের শাসন-ক্ষমতা ।
পরে কিছু সুফী হুজুরদের. কঠিন প্রতিবাদে
ফিরে পায় মুসলমানেরা শুক্রবারের জুম্মা ।


এরাই ফতোয়া দিয়েছিল, বাংলা ভাষায় নাকি হিন্দু
তাই খুব জোরেশোরে, পড়াতো ফার্সী আর উর্দু ।
ভাষার দাবিতে যখন, বাঙালীরা মাতোয়ারা
এরা তখন বুঝাতো এসে, উর্দু আরবির ভাষা ।
আবার পাকিস্তানের নামে দিত, নানা বিশেষণ
পাক অর্থ-পবিত্র,  আর স্থান সে-তো জায়গা ।
পবিত্র জায়গা রক্ষায়, হয়েছিল যত রাজাকার
এ সবই ছিল তাদের ফতোয়াবাজীর কারবার ।


ব্রিটিশ আমলে, ছিল যারা ওহাবী-খারেজী
নাম পাল্টে এখন তারা, বে-নামি ইসলামী  ।
এখন তাঁরাই পড়ে, সেই ইংরেজী ও বাংলা
লজ্জা-শরম এদের আর, কখনো হবেনা ।
ধোঁকাবাজি করে মুসলমানের মগজ ধোলাই
বেশ পেট ভরে খাওয়া চলে, আর কি চাই ।
দান-খয়রাতে চলে দিন, তবু ও করে ফুটানি
ধর্মের ব্যবসা তোমাদের, চলবে আর কতদিন ?