উগ্র ধর্মীয় মতাদর্শে, খণ্ড হলো বাংলা
বহু স্মৃতি নিয়ে আজও কাঁদে দুই পারের বাসিন্দা
যাদের ভাষা-সংস্কৃতি-আত্মীয়তা ছিলো এক সাথে গাঁথা
তারপরেও ভাগ হয়ে গেলো, প্রাণের বাংলা !


কি অপরাধ ছিল আমাদের ? বলতে মানা
নেতৃত্বের ফায়দা নিতে একদল নেতা
প্রায়ই বাধাতো হিন্দু-মুসলিমে দাঙ্গা
আর দিত দোষ ! অপরাধী আপামর জনতা ।


কি অদ্ভুত এক “দ্বি-জাতি তত্ত্ব” !
পৃথিবীর কোন দেশেই ছিলো না যার অস্তিত্ব
মহানবী (স:) তাঁর মদিনার ইসলামি রাষ্ট্রেও করেননি
ইহুদি-খ্রীষ্টান-মুসলমানদের মধ্যে বসবাসের পার্থক্য ।


হিন্দু-মুসলিমে ভাগ, কি ছিল এর যৌক্তিকতা ?
শেষ নবাবেরও আমল ছিল বাঙলা, বিহার, উড়িষ্যা
হয়নি ভাগ মেঘালয়-আসাম-মনিপুর-ত্রিপুরা
শুধু ভাগ হয়ে গেলো আমাদের বাংলা !


ভিন্ন ভাষা-কৃষ্টি, তাও ২,২০৪ কি:মি: দূরত্বে !
কি মিল ছিলো পাকিস্তানি আর বাঙালিদের মাঝে ?
পরে কেন হলো যুদ্ধ, সেই প্রিয় পাকি বন্ধুদের সাথে ?
তবে কি ভুল ছিলো নেতাদের ভাবনা-বিচারে ?
এভাবে সাম্প্রদায়িকতার কাছে, যারা হয়েছিলো নতজানু
দেশ ভাগের সময়ও রাখেনি, তাঁদের প্রিয় পাকি প্রভু  ।


ব্রিটিশ-পাকিদের সাথে কখনো সখ্যতা গড়ে
কেউ নেতা, আবার মন্ত্রী হয়েছিলো দেশে
অনেকে বলে তারাই ছিলো নাকি আদর্শ নেতা
তবে, খুঁজে কি পাওয়া যাবে আজ তাঁদের দলের নিশানা ?
রাজনীতির কালপুরুষ এতো সহজ ভেবো না
তাইতো তাদের আদর্শ ও দল থেকে বিচ্যুত জনতা ।


যারা রাজনীতির সাথে মিশিয়ে ফ্যালে
আপন স্বার্থ আর গোষ্ঠীর ভাবনা
তাদের মেহনত কখনো কবুল হয় না
হলে, আজও রাজপথে ধ্বনিত হতো তাঁর নামটা।


সেই খ্রীষ্টপূর্ব অব্দের মানুষও জীবন্ত, তাদের কর্ম দিয়ে
প্রকৃত আদর্শ ও ত্যাগ কখনো মরে না
বহু যুগ-শতাব্দী পাল্টে গেলেও তাদের পথ ধরে
খোঁজে মানুষ, আগামীর নতুন ঠিকানা ।।