দাউদ (আ:) ছিলেন আল্লাহর প্রিয় নবী ও রাসুল
সেই যুগে এক গরীব বৃদ্ধা বাজারে গিয়ে,
কিছু আটা ক্রয়ে, ফেরার পথে ;
হঠাৎ ঝোড়ো হওয়ায় তার সব গেলো উড়ে ।  


পথে বৃদ্ধাকে কাঁদতে দেখে, নবী পুত্র সোলায়মান
শুনে বলে, বুড়িমা মন খারাপ করোনা,  
যদি নালিশ দিতে পারো, নবী বাদশাহ দাউদকে
পাবে বহু গুণ তুমি, তার ন্যায় বিচারে ।


বুড়িমা তাই এবার, নবী দাউদের দরবারে
আটার বিষয়ে নালিশ, বাতাসের বিরুদ্ধে  
শুনে নবী হেসে, "বাতাসে উড়ে যায় যে মাল,
তা কি ফেরত আসে কোন কাল" ?


হতাশ হয়ে ফেরার পথে আবার সোলায়মান
শুনে বৃদ্ধাকে তিনি পুনরায় পাঠালেন সেথায়,
এবারও একই জাবাব ছিলো নবী দাউদের,
বৃদ্ধা পড়ল মহা লজ্জায়, কি করি কি হয় !


সোলায়মান এবার বৃদ্ধাসহ পিতা দাউদের দরবারে
সবিনয়ে বলে, আপনি শুধু বাদশাহ নন মানবের  
তামাম সৃষ্টিরাও করে তাঁবেদারি আপনার ।
পৃথিবীর কোন ঘটনাই এমনিতে ঘটেনা,  
ডাকেন বাতাসকে, কেন সে উড়ালো বুড়ির আটা ?
এসে বাতাস বলে, কোন কাজই করি না আল্লাহ্‌র হুকুম ছাড়া ।


পরে বাতাস শুনালো প্রকৃত ঘটনা, নবী দাউদ(আ:)কে  
বিশাল সমুদ্রে খাদ্য বোঝাই জাহাজে
হঠাৎ ছিদ্র হলে, জাহাজী মানত করে আল্লাহর কাছে
দয়াময়, ছিদ্র বন্ধ হলে দিব মালের অংশ তোমার পথে ।  


হুকুম হলো, তাই আটা নিয়ে তৎক্ষণাৎ ওই ছিদ্রে,  
ডাকুন জাহাজীকে, যার মানত ছিলো আল্লাহর কাছে ।
হুকুমে সে ও দরবারে হাজির, নবী দাউদের
জানালো জাহাজী, ঘটে যাওয়া সেই কাহিনী মানতের ।


পরে মানতের সেই অঢেল খাদ্য প্রাপ্য হল বুড়িমার
বিচার শেষে বৃদ্ধাকে ডেকে সোলায়মান আবার
বলে বুড়িমা, বলে ছিলাম না, পাবে বহুগুণ  
এবার বিশ্বাস হয়েছে, নবী দাউদের বিচার ।


বুড়িমা আনন্দে তব, চোখের পানি ছেড়ে
বলে এই দুনিয়াটা, সব আল্লাহর খেলা ।
তুমি শুধু নবী পুত্র নও, মহাজ্ঞানীদের একজন
তোমার কথাতে বিশ্বাস রেখে, গিয়েছিলাম বলে
পেয়েছি মালের বহুগুণ, নবী দাউদের বিচারে ।।