এক যে ছিল থানা নির্বাহী কর্মকর্তা
জানতো সে দুর্নীতির নানা রকম কায়দা
দেখে মনে হতো, যেন ধোয়া তুলসী পাতা
দুর্নীতি বৈধ হলে, ব্যাটা হত বিশ্ব সেরা !


ডিসি থেকে সচিব, সব এক পথের পথিক
মিলে মিশে লুটে ওরা জনগণের সিন্দুক ।


দুর্দান্ত ক্ষমতাশালী এই কর্তার বিরুদ্ধে
করলে অভিযোগ দিতো ডিটেনশনে ঝুলিয়ে
পরে জান বাঁচাতে ওরা, পায়ে ধরে ক্ষমা
করতো চামচামি সর্বদা, নির্বাহীর প্রশংসা ।


হঠাৎ পরিবারের টেলিফোনে তিনি বড় চিন্তিত
করতে হবে জোগাড় তার ত্রিশ লাখের মত
তাই ও,এস কে নিয়ে জরুরী আলোচনা
আছে কোন প্রকল্প, যেখানে ত্রিশ লাখ জমা ।


ও,এস জানালো এডিবিতে বিশ লাখ, যেটা
চলতি অর্থ বছরের সর্ব শেষ টাকা
তৎক্ষণাৎ ভুয়া রেজুলেশন “পুকুর খনন” নামে
যেথা সুপেয় পানি মিলিবে সাধারণের তরে ।


আসলে প্রকল্পের নামে সবই ফাঁকা
এটা শুধু টাকা আত্মসাৎ এর ফন্দি একটা
এভাবে চলত এলাকায় খাতা কলমে উন্নয়ন
এর কিছু দিন পরে, তার এডিসিতে প্রমোশন ।


পরের নির্বাহী এসে, যখন বুঝে পায় দায়িত্ব
দ্যাখে নেই কোথাও কোন পুকুরের অস্তিত্ব
তিনি ও চালাক ছিলেন, প্রকল্প বিষয়ে
তাই আবারও ভুয়া রেজুলেশন পুকুর দিয়ে
দ্যাখায়, প্রয়োজন নেই এখন সুপেয় পানি
তাই ভরাটে ও দরকার, বিশ লাখের বেশি ।


এভাবে সরকারি প্রকল্পে চলে পুকুর চুরি
এমন প্রমাণ আছে, দেশে ভূরি ভূরি ।।