প্রিয়তমেষু আমার
তোমার স্মরণে
আঁধারের বুকে হৃদয়ের মানচিত্রে খেলে জোছনারা
মনের সরোবরে সুখের জলকন্যারা মাতে উচ্ছ্বাসে
পরীযায়ী পাখীরা আনমনে নামে অচেনা ভূখণ্ডে
নেপথ্যে বাজে মোহন বাঁশীর অচেনা সুর স্বপ্ন রাঙ্গাতে।


তুমি-হীনা বেদনার নীল, পবিত্র দুঃখ হয়ে
আমায় ঘিরে অপার্থিব আকুলতায়।


আমার ঘর্মাক্ত শরীরে তোমার কোমল কর-স্পর্শ
সকল দুঃখ-বিনাশী নিরাময়তা ছড়ায়
ঘুম ভেঙ্গে বাতাসে উড়ে হাজার বর্ণিল প্রজাপতি
শত সহস্র ফুল-কলি স্বতঃস্ফূর্ততায় ফুল হয়ে হাসে।


তুমি এলে-
আমি তুমুল কোলাহলের মাঝেও নৈঃশব্দের চাঁদরে ঢেকে যাই
শুধু তোমায় শুনবো বলে-
তোমার ধ্বনিতে ঘোষিত হবে যে আমার যন্ত্রণার মৃত্যুদণ্ড।


তোমার প্রত্যাশায় বর্ণমালা  উন্মূখ আজ কবিতার পাতায়
আমার পুলকিত মন ধীরে বিমোহিত হয় তোমার মুখচ্ছবিটি স্মরণে।


তোমার মমতা ঘেরা আলিঙ্গনের আশায়-
মনের দখিন দুয়ার খুলে দু বাহু বাড়িয়ে
যেন দাঁড়িয়ে রয়েছি অনন্তকাল।


আমাদের যুগলবন্দী মূর্তি যেন মূর্ত
স্মৃতিতে, স্বপনে, জাগরণে
কাল থেকে কালান্তরে- অবিনাশী চিত্রপট হয়ে।