শৈশব


অবুঝ আমার চেতনার ঘোরে
কেটেছে কত না দিন
শৈশবের সে প্রহরের কাছে
রয়ে গেছে বহু ঋণ।


নতুন আলোয় নতুন প্রভাতে
সব ভালো লাগা সেই ক্ষণ
পড়ন্ত বেলায় মনে ভিড় করে
তুলে অনুপম অনুরণন।


সাদা সেই মনে পলে পলে জমে
কত না রঙ্গিন স্বপ্ন
মন সিন্দুকে ঠাঁই করে নেয়
হয়ে নব জ্ঞান রত্ন।


আদরটা বেশী না শাসনটা কড়া
ভেবে মন হতো ক্লান্ত
আদরে বাঁদর সব এলো মেলো করে
কখন যে হতো ক্ষান্ত।


প্রশ্নের বানে জেরবার সবে ,
কতো কি যে হবে জানতে
নিজের বুঝাটা সব ঠিক যেন,
অন্যেরটা কষ্ট মানতে।


রূপকথার সে অলীক জগতে
মন যে রইতো পড়ে
জানি না কখন রুঢ় বাস্তব
এ জগতে এসেছি সরে।


ঠোঁট কাঁপানো অভিমান সেদিন
ঘুচাতো মায়ের কোল
স্নিগ্ধ সে পরশে ঘুমের আবেশে
হারায় অস্ফুট বোল।


চোখ ধুয়ে নামা অশ্রুর কণা
শুকায় গালের ভাজে
কষ্টের কথা বলিনি যে কাউকে
মরেছি মিথ্যে লাজে।


কতো সহজেই অভিভূত হওয়া,
সহজলভ্য ছিলো বিস্ময়
অল্পতেই যে চাহিদার শেষ,
মাঝারিতে যেন বিশ্ব জয়।


কৈশোর ঘেঁষা সেই শৈশব  
স্মৃতিপটে আছে মিশে
জীবন প্রাতের সেই সে শিশির
ফিরে পাবো আর কিসে।