চিঠিটা এসেছে সুদূর প্যারীস থেকে
প্রেরকের নামও আছে তাতে -‘এলিজাবেথ’
আমার দশ বছর আগেকার ঠিকানায় পাঠানো তা
হাত ঘুরে ঘুরে ঠিকই পৌঁছে গেছে
আমার বর্তমান ঠিকানায়.।
স্তব্ধ হয়ে আমি বসে আছি চিঠি হাতে-  বিহ্বল
মন ফিরেছে দশ বছর আগের প্যারীসে-
আইকনিক আইফেল টাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে
এলিজা হাত হাতে নিয়ে বলেছিল-‘গ্রহণ কর আমায়’।
অপারগ আমি স্খলিত মন্ত্রে শুধু উচ্চারণ
করেছিলাম,’প্রতীক্ষা করতে হবে।‘
ভেবেছিলাম চঞ্চলা বিদেশিনীর ক্ষণিক ভালোলাগা
উবে যাবে সময়ের বাষ্পের সাথে মিশে
বলেছিলাম ফিরবো বছর কয়েক পর,তখন যদি হয়, দেখা যাবে।


পরে প্যারীস ছাড়ার আগে বিদায় জানাতে এসে- কেঁদে ফেলেছিল লিজা, এলিজা।
ক্রন্দনরতা বিদেশিনী লাজুক স্বরে বলেছিলো-‘মুনীয়ের,মঁ এমো’।
ঝাপসা চোখে আমি আসলে তাকে শেষ বিদায়ই জানিয়েছিলাম ,বুকে কষ্ট নিয়ে।


ল্যুভের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা স্বর্ণকেশী নারী মূর্তীটি যেন আজও
আমায় হাত নেড়ে নেড়ে এগিয়ে দেয় জীবনের পথে ,ফিরে পাবার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে।


খামের ভেতর থেকে বেড়িয়েছে এলিজার দীর্ঘশ্বাস
অপেক্ষারতা বিদেশিনীর প্রতিজ্ঞা প্রহরের যন্ত্রণা
অবশেষে মনের মানুষকে ফিরে পাবার আকুলতা।


ভাষার সংকটকে ভয় ছিলো আমার, ছিলো দুরন্ত জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা
আরো ছিলো তাকে হারানোর ভয়।
আমি বুঝতে পারিনি সে নারীকে-
শুদ্ধ ভালোবাসা পরখ করার কোন মাপকাঠি ছিল না আমার- নেইও তা কোথাও।
এখন আর নেই পরিস্থিতি সেখানে ফেরার-
তবুও খোঁজ করেছি আমি তার- নেই , কোন ঠিকানায় আর নেই বেথ।


মেঘেরা যদি প্যারীসের আকাশে যাও নিয়ে যেও আমার বার্তা
পরিযায়ী পাখীরা যদি পথ ভুলে যাও সেখানে বলো তাকে আমার কথা
“তোমাকে ভুলে বড় ভুল করেছি আমি এলিজা-
বেথ, মঁ এমো”  ।


MON AMOR ( FRENCH)= I LOVE YOU/ MY LOVE