বিদায় সম্ভাষণের আগে বা পরে
আমি কাউকে দায়ী করতে পারিনি---
আত্মশ্লাঘা নাকি অপার ক্লান্তির আচ্ছন্নতা
আমাকে তখন বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল ছিন্ন ভিন্ন আত্মা থেকে।
সম্পর্কের জোড় যখন ছিঁড়ে যায় পলকা মলিন সুতোয় গাঁথা মালার মতো
তখন বিজোড় দুটি প্রাণী হতাশা নাকি আত্মতৃপ্তিতে অবগাহন করে-
জানি না।
পরে-
কখনো বুক ভেসে যায় তরল দুঃখে- স্মৃতির স্মরণে
কখনো ক্ষোভ,দুঃখ, অভিমান,অপমান শব্দগুলো
অভিধানের নির্জীব পাতা থেকে সজীব হয়ে ওঠে যথার্থে।
সময় কিন্তু ঘড়ির কাঁটা থেকে ক্যালেন্ডারের পাতায় ঘুরে ঘুরে
একক জীবনকে এগিয়ে নেয় অন্ধকার থেকে আলোতে
কিন্তু তার ছায়াটি পিছু ছাড়ে না।
সংঘর্ষে, সংসর্গে,সংশয়ে, সংলাপে-বিলাপে যাপিত সে জীবন
নিভৃতে-নির্জনে হানা দেয় আততায়ীর মত-
মৃত স্মৃতিকে জাগানোর ব্রতে।
পরিবর্তন বিলাসী একজন অশরীরী জিঘাংসায়
অথবা অপার্থিব মায়ায় আবির্ভূত হয় স্বপ্নের মরূদ্যানে।
তারপর-
একাকী পথিক আবার হেটে চলে- চেনা বা অচেনা পথে
এ চলার শেষ কোথায় সে জানে না।