স্বপ্নে দেখেছি সক্রেটিসের হন্তারক বলছে-
“-নাও ,হেমলক,পান কর সুস্বাদু মৃত্যু।“
হিটলার হলে হয়তো বলতেন,-
“কদাকার অনার্য কথাকার,
ধীরে ধীরে মৃত্যুকে চেনো ,যন্ত্রণা টুকু চুষে খেতে দাও
আমার আমোদ-প্রিয় গেস্টাপো আর নষ্ট বিজ্ঞানীদের ।“
কেউ বলে না ,বলবেও না,  “ এসো, চির শান্তির মৃত্যু- শয্যায়।“

মৃত্যু চিন্তা এসে ভর করে জীবনের এই দ্বিপ্রহরে -অহরহ
পাপ আর ভুলের বোঝা এতটাই আমায় বাঁকা করে ফেলেছে যে
নতরদামের কুঁজোও উপহাসোচ্ছ্বলে তাকায় ।
হায় ! পুণ্য আমাকে একটু হালকা কর
সময় থাকতেই দাওনা সোজা হবার সোজা পথ।


এতো নির্ভিক তো আমি নই যে মৃত্যু কে সামনে দেখেও
চাইবোনা পালাতে-
লুকাতে এই একদা তিরস্কৃত পৃথিবীর কোন এক কোনে ।
বেদনার চর এই পৃথিবীটাই ভীষণ মায়ায় টানে আমায় -


মৃত্যু নামের অবশ্যম্ভাবী আত্মসমর্পনে -
আমি জানি পদার্পণ হবে অন্য জগতে-
মরণশীল থেকে অমরত্বে
ক্ষয় থেকে অক্ষয়ে
নশ্বর থেকে অবিনশ্বরে


আসছে সে মৃত্যু এগিয়ে পায়ে পায়ে , অক্লান্ত
অনিবার্য এক সংঘাত, না বরং বলা যাক আলিঙ্গন।


কথা হচ্ছে , কতো দূর থেকে আসছে সে
নাকি আমিই এগিয়ে গিয়েছি অনেকটা তারই দিকে ।