তুষারাবৃত প্রান্তরে একাকী শীতার্ত পথিক
আমি খুঁজে ফিরি একটু উষ্ণতার আশ্রয়
মনের চোখ আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকে
হলুদ শর্ষের ক্ষেতে- রোদে ধোয়া মাঠে
শান্ত দীঘির পাড়ে নুয়ে পড়া গাছটার তলে
নাম না জানা পাখীর ডাকে ভেঙ্গে পড়া দুপুরে।


মরুতপ্ত ধুলোর সাগরে তৃষিত পর্যটক হই যখন
সুশীতল মরুদ্যান মরিচীকা হয়ে ভাসে
গ্লাডিওলাসের বাগান দু’পাশে রেখে আমি ফিরে আসি
অর্কিডে ঘেরা আমার কাঠের কুটীরে-
বারান্দার আধো-ছায়া থেকে দুচোখ মেলে দেখি
সামনের ছবির মত পর্বতসারির গায়ে মেঘ আর রোদের খেলা।


অমাবস্যার নিকষ কালো আঁধারে পথ চলতে গিয়ে
আমি বুভূক্ষের মতো খুঁজে মরি একটু আলোর শিখা
পৌঁছুতে হবে আমায় আলোকসজ্জিত পান্থশালায়
প্রিয় বারবিকিউ আর দুধসাদা চাদরে মোড়া বিছানা ডাকে আমায়
ধোঁয়া ওঠা কফির মগ হাতে আমি উদযাপন করবো আঁধার বিজয়।


চড়াই-উতড়াই ভরা এই এই জীবনপথে
সাথী হবার কথা তো ছিলো বন্ধু তোমারও
কোথায় তুমি?
কত জনম দেখিনা তোমায়।