শান্ত ঝিলের জলে ঝর ঝর ঝরা বৃষ্টির সিম্ফনি তাকে
শুনিয়েছিলো  প্রকৃতির কবিতা--
ভোরের নরম আলো সদ্য ফোঁটা ফুলের বুকে হাসি এঁকে
শিখিয়েছে তাকে প্রকৃতির ছন্দ --
শরতের আকাশে শুভ্র মেঘের ভেলা আর নীচে কাশবনে বাতাসের দোলা
প্রকৃতির গড়া সনেট দেখিয়েছিলো তাকে --
তাই প্রকৃতির কাব্যময়তা মগ্নতায় ঘেরে কবিমন।


ছন্দে গন্ধে রঙে রূপে সাজানো এই ভূবন ভাবালুতায় ঢাকে
যারা দেখতে চায় তাদের- মনের আলোয় পরিস্ফুট হয় তা।
ভালো নেই এমন মনেও আলো ছড়িয়ে যায় -আসমান জমিন
নদী বয়ে নিয়ে যায় বেদনা , দুঃখ ধুয়ে ফেলে বৃষ্টি ধারা
ঊদার আকাশ ডাকে ভোলাতে শোক , বাতাস উড়িয়ে নেয় গ্লানির গন্ধ।


কীর্তিময় প্রকৃতি নিয়তই গড়ে জীবনের গান
তার সুর মূর্ছনায় আন্দোলিত কবি শব্দের শাটার টিপে ছবি তুলে চলেন।
চন্দ্র-সূর্য্যের আলোক স্নানে বিমুগ্ধ স্বপ্নেরা তাই ডানা মেলে কাব্যের প্রান্তরে
স্বপ্নবিদ্ধ শব্দগুচ্ছ ফুল হয়ে ফোটে প্রকৃতির বন্দনাপত্র শোভিত কাব্য বৃক্ষে ।


কবির আয়নায় নিজেকে দেখে দেখে হয়তো হাসে এই বিপুলা ধরণী --
“ আমি প্রকৃতি যাদুকর আলোছায়ার
তুমি কবি হে  শব্দ শিল্পের কারিগর।
তোমার হাতে ছবিরা শব্দ হয়ে যায়
অনেকে অবাক, ফিরে ফিরে দেখে অচেনা আমায়
অনেকে আবার ফিরে পায় চিরচেনা মুগ্ধকররূপে আমায় ।“