মানুষের স্রোত চলছে অবিরাম
ঐ রাজপথ এমনকি গলিটার এপার ওপার জুড়ে
আমার জানালার ওপাশে দুনিয়ার কোলাহল
এপারে নিস্তব্ধতার কারাগার।


জনবিচ্ছিন্ন আমি নিরবিচ্ছিন্ন মনোসংযোগে
নিজেকেই শুধু খুঁজে ফিরি একাকী নিভৃতে ।


নেই , কেউ নেই আমার
কথা শোনার, নয়তো কিছু বলার
মিথ্যা সান্তনা দেবার গরজও কারো নেই
নেই এ জীবন এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তাড়া দেবার কেউ।
এই চারদেয়ালের ভেতর আমার ক্ষণিকের সঙ্গী
বেয়াড়া টিকটিকিটাই  টিকটিক করে আমায় ব্যাঙ্গ করে মাঝে মধ্যে
উচ্ছ্বিষ্টের সন্ধানে আসা ইঁদুর আরশোলারা আমায় গণ্য করে না ।


অস্তিত্ব আর অনস্তিত্বের সীমারেখায় আমি যেন বিভাজন বিন্দু


স্বপ্নের সবুজ সতেজ পাতাগুলো শুকিয়ে পড়ে রয়েছে পায়ের নীচে
আমি পায়চারী করলেই শুনতে পাই তাদের মর্মর আর্তনাদ ।
স্বর্নালী অতীত আশার আলোক আভায় ছিলো চোখ ধাঁধানো
আজ তাই যেন মরচে পড়া মলিন তামা -- সবজে -কালো আভরনে ঢাকা।
সারা পৃথিবীর উচ্ছ্বলতা , কোলাহল ছাপিয়ে আমার কানে বাজে
ব্যার্থ অন্তরাত্মার গুমরে ওঠা বিলাপের সুর -


আমি বড় একা আজ ,  কেউ নেই আমার---
নেই আমি কারো অনুভবে , ডাকবে না কেউ স্বজন ভেবে
কার কি যায় আসে , এ ব্যাস্ত জীবন থেকে একজন ঝরে গেলে
ডাকবো না কাউকে আর , মৃত্যু নিয়েছে জানি পিছু,
নীরব স্বাক্ষরে শুধু এই পৃথিবীর খাতায় জীবন পাতায়
রেখে যাবো অস্তিত্বে আমার ।