কবিতাকে


নামতা শিখেছিলাম বলেই
অংক কষতে পারি আমি
কবিতা পড়েছিলাম বলেই
ভালবাসতে শিখেছি আমি ।


জীবনের অংকটা যখন বড় গোলমেলে হয়ে যায়
শব্দের চাবিকাঠি দিয়ে আমি সে জট খুলতে বসি ।


কবিতা আমাকেই লিখছে শব্দ জুড়ে জুড়ে
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখে যাই-
কিভাবে শোকেরা পংতির মিছিলে যায়
কিভাবে সুখেরা শব্দের ছবি আঁকে
কিভাবে অশ্রু বর্ণমালার নদী হয়ে বয়
কিভাবে হাসিরা অক্ষরের ঝর্ণাধারা হয়ে ঝরে ।


কবিতার আয়নায় আমি এক অচেনা আমাকে দেখি
দেখি নির্বাক অভিব্যাক্তির সুস্পষ্ট উচ্চারণ ।


কবিতার হাত ধরে আমি স্বপ্নের মাঠ ঘুরে বেড়াই
গ্লানিময় এ বিশ্বে নিঃস্ব আমার আছে শুধু শব্দের প্রাচূর্য্য , তাই-
সব ব্যার্থতাকে অব্যার্থ পদাঘাতে সুদূরে পাঠাতে আমি সাহসী হই ।


কবিতার রাজ্যে নাগরিকত্ব পেয়ে আমি হয়েছি ধন্য
তাই নগণ্য এ কবি আমি শব্দের ফুল দিয়ে মালা গেঁথে যাই
কবিতার জন্যে ভক্তির ভগ্নাংশ প্রকাশে ।