একে তুমি বৃষ্টি বলো ?
আমি দেখি বসুধার কান্না
আছড়ে পড়ছে আমাদের নির্লিপ্ত শরীরে , নির্বিকার জমিনের বুকে
বঞ্চিত , অত্যাচারিতের প্রতিকারের আবেদন নিয়ে  ।


ইদানিং বৃষ্টির ফোঁটায় চোখের জলের শতাংশ গেছে বেড়ে
ঐ কালো মেঘের ভাজে ভাজে বাড়ছে বাস্পীভূত মানব দুঃখ
বাতাস সেই ক্রন্দনে ক্ষেপে গিয়ে
হাহাকার তুলছে সাইক্লোন হয়ে --
অত্যাচারী , নির্বিকার মানুষ , নিরাপদ বলয়ে থেকে
ভাবছে আমার কি যায় আসে !
সুরম্য প্রাসাদবাসী হাসে
একে বাতাসের বৃথা আস্ফালন ভেবে --
উপর থেকে দেখে সাময়িক জলাবদ্ধতাকে
উপহাসই করে যায় তারা ।
পাপ নামছে ভূমিকে আরো ভারী করতে
পাপভারে ধ্বসে পড়তে চাইছে ভূমি--
কেঁপে উঠবে যেদিন সে প্রবল ক্ষোভে  
কাঁপিয়ে দেবে সে সেদিন সবার অন্তরাত্মা
ধ্বসে যাবে আমাদের নির্বিকার , নির্লিপ্ত ভাব
করুণাহীন নির্দয় অভিশাপে ।                    
সেদিন এই অশ্রুধারী বৃষ্টি , এই হাহাকারী বাতাস
ঠিকই আবার আসবে---
দেখতে বিদীর্ন প্রাসাদের ভূমি শয্যা
দেখতে অট্টালিকা থেকে ছিটকে পড়া দাম্ভিকদের
দেখতে অনাচারী অত্যাচারীর শবের পাহাড়  
দেখতে নির্বিকার শাসকের সর্বহারা ক্রন্দন ।


মহাপ্রলয় অনেক দূরে যারা ভাবে
তাদের মৃত চোখ দেখবে খন্ড প্রলয়লীলার প্রচন্ডতা ।
-------------   ---------------    ----------------   --------------


( কবিবন্ধু মুজিবুর রহমান মুনীরের “আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে ” পড়ে বিবেকের
প্রচন্ড আলোড়নে , ক্ষোভের আগুনে পুড়ে , লজ্জা -গ্লানির স্রোতে ডুবে আসে এই লেখা।)