প্রাচীন নাবিকের প্রাণের আকুতি নিয়ে
সহস্র দিবস রজনী ভেসে ভেসে বোতল বার্তাটি নোঙর ফেলেছিলো
অকস্মাৎ একদিন   বিংশ শতাব্দীর কোনো এক বন্দরে—
কাঁচের ঘরে বন্দি সে আর্তনাদ
শতাব্দীর শোক বয়ে শোকার্ত করে অচেনা পাঠককে।
ভাগ্য বিড়ম্বিত নাবিকের নির্জন সেই দ্বীপ—
নিখুঁত অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশের সেই ঠিকানা
আজ এক ব্যাস্ত বন্দর হয়ে গেছে কালের কর্মযজ্ঞে
জানা যাবে না কোনোদিন তার ঠাই এর মাটির গভীরেই হয়েছে নাকি
ফিরেছিলো সে একদিন লোকালয়ে।
কাগজে বর্ণিত-
আতংকিত নাবিকের রসদ গেছে ফুরিয়ে—
অনিশ্চিত জীবনে দাঁড়িয়ে লিখেছিলো সে
সন্তান-প্রিয়জনের সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিক নিশানা, মোহরের ম্যাপ
লুকানো স্বর্ণমূদ্রার সন্ধান লিপিবদ্ধ সে বার্তা
হয়তো কোনোকালে পৌঁছায়নি যথার্থ প্রাপকে।
সারা জীবনের সঞ্চয় গুপ্তধন করে সে নাবিক হয়তো
ঘুমিয়ে আছে অজানা ভূখন্ডের মাটির গভীরে।
জলদস্যু কবলিত জাহাজভাঙ্গা নাবিকের
বুক ভাঙ্গা দীর্ঘশ্বাস প্রবাহিত কালের স্রোতে
শুধু সময়ের স্বাক্ষী বোতল বার্তাটি
ফিরিয়ে এনেছিলো তাকে মানুষের মনোযোগে
এই পৃথিবীতে বহু বহুকাল পরে।