মৃত্যু মেঘের কালো ছায়াঘেরা এলোকেশী উন্মাদিনী ঐ আসে
আসে প্রবল তৃষিত মৃত্যু-পায়ী নির্মম আগ্রাসী এক বিকারগ্রস্থ
বৃক্ষের সঙ্গে মৃত্তিকার নাড়ীর সম্পর্ক ছিন্ন করতে আসে সে
দুমরে মুচরে জনপদ, সে আসে যেন দারিদ্রের অভিশাপ হয়েই ।
কারো আর্তনাদকে ধর্তব্যে নেয় না সে
বাতাসের চাবুক দিয়ে সে আঘাত করে যায় দ্রুতলয়ে
তার সঞ্চালনে ধ্বংসের মহাসম্মেলন ঘটে
বৃষ্টির বর্ষাঘাতে বিধ্বস্ত হয় নব অঙ্কুরিত ফসলের স্পম্ভাবনা ।
তার প্রবল রোষের পদাঘাতে ধ্বসে পড়ে দুর্বল দেয়াল কি শক্ত গাঁথুনি
তার পদতলে পিষ্ট হয় অকাতরে কাতর প্রাণ
আতংকের সাইরেন বাজিয়ে জানান দেয় সে তার ভয়ংকর উপস্থিতি
তার নির্লিপ্ত নির্বিচার নির্যাতনে সযত্নে গড়া সুখ যায় নির্বাসনে
তার বজ্র সাথীর গর্জনে কেঁপে ওঠে নিরুপায় ভূমি বারংবার
ঝলসে যাওয়া লক্ষ্যবস্তুতে তার বিভীষিকার স্বাক্ষর থাকে আঁকা ।
আসে ঈশ্বরের সৃজিত এই নশ্বর পৃথিবীতে নখর-শোভিত বিধ্বংসী নটরাজ
আসে অপ্রতিরোধ্য দুরন্ত গতির দুর্বিনত পাষন্ড পরিব্রাজক এক
উন্মত্ত আক্রোশে সে গ্রীষ্মের দাবদাহে উত্তপ্ত বায়ুর আচ্ছাদনকে দীর্ণ করে
আনে সুশীতল শান্ত সমীর –স্বস্তিতে সিক্ত হয় খরা-পীড়িত জমিন ।
ভাবনা আসে মনে,
শুধুই কি ত্রাসের বাতাস সে, শুধুই কি বজ্রের হুঙ্কারে ঝাপিয়ে পড়া
হিংস্র শ্বাপদ সে, শুধুই  প্রলয়ঙ্করী এক  মৃত্যুর প্রতিনিধি সে ?
নাকি আমাদের অনেক অজানা সমস্যার এক ব্যাতিক্রমী সমাধানকারী
এই রুদ্র মূর্তীর কালবোশেখী ।