প্যাঁচার গায়ে পিছলে নামা জোছনা
উঁকি দিয়ে দেখে আমার আধা ঘুমন্ত চোখ
ঘাস ছাওয়া জমিনে গাছের ছায়ারা ছোঁয়াছুঁয়ি খেলে
আঁধারকে যেন ঘন করে তোলে কামিনী ফুলের মাদক ঘ্রাণ
এমন সময়েই সরীসৃপেরা বুক ঘষে ঘষে এগোয়
বিহবল শিকারের খুব কাছে—
জোনাকিরা জড়ির নকশা কাটে আঁধারের আঁচলে
রাত জাগা কুকুরেরা নিচু স্বরে সাবধান বাণী শোনায় পরস্পরে
হঠাতই বাতাসের উস্কানিতে গাছের পাতায় পাতায় কোলাহল জাগে
আবার সব নিশ্চুপ কিছুক্ষণ—
ঝিঁঝিঁ পোকাদের একটানা তীক্ষ্ণ সুর কখনো বা নিস্তব্ধতা ভাঙ্গে
দানবীয় গাছগুলো আঁধারের সব কালো গায়ে মেখে
নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে যেন ধ্যানমগ্ন –
মেঘেরা নিরাপদ দূরত্বে সরে চাঁদকে আসতে দিয়েছে পৃথিবীতে
নিজের চেহারাটা যেন অপলক দেখছে সে দীঘির জলে।
জানালার ওপাশের আলো ছায়ায় আঁকা রাত আমার
ঘুম ভাঙ্গা তন্দ্রাকে শুষে নেয়—
আমি দু’চোখ ভরে তরতাজা রাতকে দেখে যাই...।।