বেড়াল মা গর্বিত ভঙ্গিতে শুয়ে আছে
চারপাশে হুটোপুটি চলছে তার চার বাচ্চার
মায়ের দুধ খাওয়া এখনো ছাড়েনি ওরা – বড় তুলতুলে শরীর
মানুষের আগমনে –স্থির হয়ে সবকটি বড় অসহায়
চোখ তুলে বোঝার চেষ্টা করে—এখন কি করা উচিত--
ফের শুরু হয় খুনসুটি , লুটোপাটি, ছোঁয়াছুঁয়ি,
বড় দুরন্ত এরা –বড় প্রাণবন্ত এদের উপস্থিতি।
ঝকঝকে ফিনাইল চর্চিত, ফ্লোর-ক্লিনার ঘষা মেঝেতে
এদের বিচরণ অস্বস্তিকর লাগে মানুষের
এদের অপরূপ সৌন্দর্য খানিক উপভোগ করা চলে
মুগ্ধতার প্রতিধ্বনিও হয় বচনে—
তারপর যথারীতি ছুড়ে ফেলা তাদের বাইরে
বদ্ধ কপাট – প্রবেশ নিষেধ।
অবোধেরা বোঝে না কি তাদের অপরাধ
ব্যকুল উঁকিঝুঁকি – করুণ মিউ মিউ – মানুষ সবই অগ্রাহ্য করে
বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারা পরস্পর থেকে
মাতৃহারা শিশুরা ভীত আর্ত- চিৎকারে  খোঁজে মা কে
মা হন্যে হয়ে হয়ে খোঁজে তার বাচ্চাদের—
ওদের গা চেটে চেটে পরিষ্কার করতে হবে , কী যে ময়লা মাখে দুষ্টুরা—
হয়তো আর পাবে না সে দেখা তার কচি কচি বাচ্চাদের
ওরা যে পশু---
মানুষের মতো এদের অগ্রাধিকার নেই
সুন্দর বাসায় একসাথে থাকার ।


[ শেষ দু’টি বাচ্চাও চুরি হয়ে গেছে, বেড়াল মা মুখে মুরগীর ঠ্যাং নিয়ে ডাকছে
বাচ্চাদের ব্যাকুল হয়ে , কাঁদছে সে অসহায় ভঙ্গিতে , কখনো শুয়ে পড়ছে
হাত-পা ছেড়ে দিয়ে প্রবল হতাশায় , বড় কষ্ট -----বড় কষ্ট এ ]