শ্রবণের সাথে তীব্র তর্কে লিপ্ত হয়েছে
দর্শনেন্দ্রিয় , কে কার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাই নিয়ে চলছে বাদানুবাদ,
আসলে একে অন্যের পরিপূরক তা মানতে চাচ্ছে না কেউই
শ্রবণের আলাদা ভূমিকা যেমন আছে , দর্শনেরও তাই
এরা না থাকলে যে মানুষের সুখ শান্তিই নাই ।


চুপচাপ শুনছিল সব ঘ্রাণেন্দ্রিয় আর ভাবছিল
আমার ভূমিকা ওদের চেয়ে কম কি ?
সুগন্ধে আকর্ষণ আর বদগন্ধে বিকর্ষণ
সে তো মানুষ আমার কল্যাণেই পেয়েছে।


এদিকে স্পর্শ বোঝার চেষ্টা করে চলেছে –
আমাকে বোঝে মানুষ আঁধারে কি আলোতে
কোমলতা আর কর্কশের পার্থক্য আমি না চেনালে
কি করে চিনতো সে?
আদরের স্পর্শে ধন্য হয় মানুষ ,প্রহারের স্পর্শে ব্যথিত।


স্বাদ ভাবছিল , আমাকে ছাড়া মানুষের জীবনটাই তো বিস্বাদ,বিষাদে ভরা
আমার কারণেই এরা বিভিন্নতা পায় খাদ্যাভ্যাসে, না হলে একঘেয়ে
এক কর্ম সম্পাদনে এরা কতোটাই বা আগ্রহী হতো?

শরীরের ওপর তলায় হৈ হল্লা পৌঁছুলে মস্তিষ্ক জ্ঞানীর মতো
হেসে ফেললেন—
আরে তোমাদের সব কাজ তো আমার নিয়ন্ত্রণে
আমার সিগন্যালেই তোমরা অনুভূত মানুষের কাছে
আমার নির্দেশে তোমরা জাগ্রত, আমার কর্তিত্বে তোমরা কর্মরত ।
আর আমি ---
আমি আছি মনের মন্ত্রণায় , আত্মার অধীনস্থ হয়ে ।


নিরাকার মন মস্তিষ্ককে জানায়—
আমি চলি মহাশক্তির, মহাপ্রভুর, মহান সৃষ্টিকর্তার অনুমতিতে,
বহুলাংশে স্বাধীন বলে,  বলতে পারছিনা –
সব তাঁর নির্দেশ মতোই করি আমি ।