হোঁচট খেতে খেতে চলেছি জীবন-পথ
পতন সামলানোর সাফল্যকে সাথী করেই
চলছে সামনে এগিয়ে চলা আমার-


শম্বুক-গতির এই চলায় কিছু সুবিধা অবশ্যই আছে—
অনেক অনুভবকে আমি দখলে নিতে পারছি
দুর্দান্ত গতির মানুষকে  দেখছি নির্বিকার নির্লিপ্ততায়
পথ হারিয়ে ফেলা মানুষ আরো দ্রুত গতিতে চলে ভুল পথে
আর আমি যেদিকে হাঁটি সেটাই আমার পথ।
আমি উর্ধ্বনেত্রে আকাশ দেখি, অধোবদনে পাতাল চষি
সামনে , পেছনে, ডানে কি বাঁয়ে আমি দেখি সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে
পৃথিবীর এত আয়োজন আরো ভালো করে নিজের ভেতরে নেবার জন্যে
নয়তো ওদের ভেতরে মিলিয়ে যাবার জন্যে ,আমি সময়কে থমকে দিতে চাই,
তাই কি হয় ?
আমার এই আশ্চর্য ভ্রমণে অপার মুগ্ধতা অঢেল ক্লান্তিকে মুছে দেয় ।


সবচেয়ে বিস্মিত হই আমি মানুষকে দেখে দেখে
একই পৃথিবীতে ঘুরছে সবাই ,
অথচ সবার ভেতরের পৃথিবী কতোই না আলাদা,
একই খন্ড প্রকৃতিকে শত জোড়া চোখ দেখে
শত জোড়া দৃষ্টিতে, ভঙ্গিতে কিংবা দৃষ্টি- ভঙ্গিতে।
সুখ-ডানায় সময় বড় দ্রুত গতিতে  উড়িয়ে নেয় জীবন
আনন্দের আচ্ছাদনে আড়ালে থাকে অনেক দ্রষ্টব্যই
তাই জীবন পথে একটু হোঁচট খেলে যে মন্থরতা আসে
তা চেনায় নিজেকে আর এই অচেনা বিপুলা ধরণীকে।
তাই দুঃখ বিষাদ উত্তরণের অভিলাষে চলা ধীর লয়ের
এই জীবনের যাবতীয় অর্জন-
আমার সুখ সময়েও পরিব্যাপ্তি লাভ করে।


ইদানীং দৌড়ে পথ পাড়ি দেই না আর
বরং ধীরে হেঁটে দেখে যাই জগত-বাহার।