বলো এভাবে কি হয় ?
বালি খুঁড়ে সৈকতে লেখা নাম কি মুছে  দেয়নি ঢেউ ?
গাছের গায়ে খোদাই করা নাম কি ঢেকে ফেলেনি শ্যাওলা ?
কাগজের বুকে মনের আলপনা আঁকা ছিলো কতো যতনে
অমূল্য প্রেমের সে স্বাক্ষর আজ ঘুণের ঘর নয়তো
বাতিল কাগজের সাথে আবর্জনার স্তূপে পেয়েছে ঠাই।
বলো, এভাবেই কি মনের গভীরতা ভেসে যাবে লঘুতায় ?
বুঝি, সময়ের শৈত্য-প্রবাহে আমাদের প্রেমের অগ্নিশিখা
আজ তুষের ছাইচাপা আগুন ,  জ্বলছে তবু ধিকিধিকি
তুমি আছো , আমি আছি , নেই সে উত্তাপ।
জীবনের শেষ অবধি পৌঁছুতে হলে একটু উষ্ণতার ফুয়েল লাগে
শীতার্ত জীবন –প্রহরে একটু আগুনের পরশ কি পাওয়া যাবে না ?
আঁধার ঘনিয়ে এলে একটু আলো জ্বেলো তুমি—
জানি আমি, যে হাতে হাত রেখেছিলাম নির্ভরতায় তা আজ
ক্লান্ত ঘর্মাক্ত ,কর্মে কর্মে কর্কশ—
সে হাতেরই কোমল স্পর্শের জন্যে আমি আরেকবার এ জীবন বয়ে যেতে পারি।
চাই আবার সে অগ্নি-স্নানে প্রজ্বলিত হোক জীবনের এই দ্বিপ্রহর—
এসো –
গভীর বিশ্বাসের নিঃশ্বাস টেনে আবার জোরালো ফুঁ দিয়ে
জ্বালিয়ে দিই সে তুষের আগুন—
বাকী জীবনটা পাক আলো আর উষ্ণতা ।