জীবনভর কুড়িয়ে নেওয়া সৌন্দর্য্যের আলোকরশ্মি,
লব্ধ জ্ঞানের স্নিগ্ধ আভা আমি ছড়িয়ে যেতে চাই
এই নশ্বর পৃথিবী থেকে বিলীন হবার আগেই--
তাই ঘটবে আমার সুপার নোভা --
তীব্র আলোকচ্ছটায় উদ্ভাসিত হবে দিক-বিদিক;
দীর্ঘায়িত আলোক বিচ্ছুরণে আমার আত্মা ছুটবে
এই পৃথিবীর প্রান্ত থেকে প্রান্তে--
মেরুর বুকে ‘অরোরা বোরিয়ালিস' হয়ে নয়তো
‘অরোরা অস্ট্রালিস’ হয়েই জ্বলবো আমি...
নয়নাভিরাম আলোর খেলায় মুগ্ধ হবে আলোর পিয়াসীরা।


জানি, সময়ের কৃষ্ণ বিবর একে একে সব আলো শুষে নেবে
তবুও,তার আগে কিছু আলো ছড়াক অন্য প্রাণে --অক্ষয় হয়ে ।
মহাজাগতিক বিস্ফোরণে আমি নিঃস্ব ‘ব্ল্যাক হোল’ হবো
ধীর লয়ে শুষে চলবো অন্য অজানা আলো অন্যখানে ......


সেই এক বিশেষ সুপার নোভা......ধ্বংসের কিংবা নির্মানের
দেখা যাবে তা দূরবীন ছাড়াই , যতো দূরেই থাকো
দেখো সেই আলো ,রেখো তা যতনে মনের মান -মন্দিরে ।


------------------------------------------------------------


সুপার নোভা --
এই নাক্ষত্রিক বিস্ফোরণের ,যার ফলে নক্ষত্র ধ্বংস হয়ে যায়, জন্ম হয় ‘ব্ল্যাক হোল’বা কৃষ্ণ বিবরের ।সুপার নোভার সময় বিপুল শক্তি ছড়িয়ে পড়ে আর সেই নক্ষত্রটি অল্প সময়ের জন্যে পুরো ছায়াপথের চেয়েও বেশী উজ্জ্বল হয়ে পড়ে , বহু দূর থেকেও দেখা যায় তাঁর আলো।
অরোরা বোরিয়ালিস , অরোরা অস্ট্রালিস ( মেরুজ্যোতি)—
পৃথিবীর দুই মেরুতে দেখা যায় দারুন এক ধরণের অদ্ভূত আলোকচ্ছ্বটা (রামধনুর চেয়েও বিস্তৃত ও বর্ণিল) । উত্তর গোলার্ধে একে অরোরা বোরিয়ালিস বলে,দক্ষিন গোলার্ধে এর নাম অরোরা অস্ট্রালিস । পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের প্রভাবে দুই মেরুর কাছেই এই ঘটনা ঘটে থাকে ।