নিষ্ফলা ভূমির কাছে আমি আর শস্য চাইবো না
খরতাপে চৌচির নদী বক্ষের কাছে চাইবো না আর জল
একটু আলো চেয়েছিলাম শুধু আঁধার ঘনিয়ে আসা আকাশের কাছে--
ফেললে সে বজ্রপাত ---
শূন্য হাতে বিষন্ন মনে ফিরে, প্রকৃতিকে শুধু শুধাই--
‘নিরুপায় মানুষের ওপর এতো নির্দয় কি করে হও তুমি ?’
স্মিত হেসে বলেছিলো সে--
‘হে মানুষ, তুমি নিজেকেই জানো না , চেতনে -অবচেতনে কতো
বৈচিত্র পিয়াসী তুমি।‘
‘জেনো, আমার বক্ষে সৃজিত লক্ষ-কোটি প্রাণ
লক্ষ প্রাণের লক্ষ চাহিদা, বহু তাঁর আয়োজন।
আমার প্রভাতের উন্মেষে থাকে গোধূলির প্রতিজ্ঞা
অমাবস্যার আঁধারের অন্তরালেই থাকে পুর্নিমার দুর্নিবার আলো
প্রবল শৈতপ্রবাহ ঢেলে স্তব্ধ করি চরাচর , আবার
প্রখর দাবদাহ জ্বালিয়ে নিস্তব্ধ করি কতো প্রান্তর।
বর্ষণে সিক্ত করি ওষ্ঠাগত প্রান, আনি জীবনে জোয়ার
আবার খরতাপে শুষ্ক করি এ মাটির আস্তর--’


‘আমি বৈচিত্রের বাহন--
স্রষ্টার স্বাক্ষর এঁকে যাই অবিরত , এই ভূবনের ভাঁজে ভাঁজে
রুদ্র আমাকেই শুধু তো পাওনি তুমি
পেয়েছো শান্তি অপার আমার প্রেমময় কোমল রূপে
আবহমান কাল ধরে আমারই শাসনে আদরে বেড়ে উঠেছো তোমরা
তোমাদের পূর্ব পুরুষ --------
আছি অপেক্ষায় তোমাদের নতুন প্রজন্মের---
শুধু বলি, অনাচার কোরো না আমার সাথে
তোমাদের নির্বুদ্ধিতার দায় চাপাতে যেও না আমারই ঘাড়ে
আহত আমার প্রলয়ঙ্করী মূর্তি সহ্য হবে না তোমাদের--
নির্বিচার নির্দয়তা নিয়েই আসবো আমি,
আমার ফেরার পথ নেই ......... ’