অভিজাত সেই সন্ধ্যায় ক্যান্ডেল-লাইট ডিনারে
আমি ওষ্ঠের স্বাক্ষরে প্রেমের দলিল পাকা করেছিলাম।
বড় নিশ্চিন্ত লাগছিলো তোমার গর্বিত গ্রিবায় সমর্থন দেখে সেদিন
তারপর --
কবে, কখন ,কিভাবে যে সেই মনোভূমি বেদখল হয়ে গেলো
আমার কর্পোরেট জীবন তা টের পেলো না একদম--
সমস্ত মনোযোগ নিক্ষিপ্ত আমার উন্নতি -পদোন্নতির দিকে
আমার যে ঘর সাজানোর বড় তাড়া ছিলো --
আমি সুখ কিনতে চেয়েছিলাম অবস্থান আর অর্থ দিয়ে
সব নিরার্থক হয়ে গেলো --


ওল্ড ব্যাচেলর আমি এখন অনেক কিছু বুঝি--
শ্রাবণ এলে তা বুঝি,-আষাঢ়ে ভিজি
বসন্তের রঙ মনে মাখতে জানি
শীতে একটু উষ্ণতার আকাঙ্ক্ষাটুকুও বুঝি
আর, খুব ভালো করে এখন এও বুঝি কেন তুমি নেই --


তোমার নীরব প্রস্থানের নিবিড় ব্যাথা
এখন আর ক্ষোভের আগুন সাথী করে পোড়ায় না আমায়--
আমার নির্বুদ্ধিতাকেও  দিয়েছি ক্ষমা করে
বহু আগে ক্যান্ডেল-লাইটের আবছায়ায় মনের গভীরে এঁকে রাখা
অনিন্দ্য সুন্দর এক পোট্রেট তৈলচিত্র --এখন আবছা লাগে।


অগত্যা নির্বিকার সাজার সাধনায় কিঞ্চিৎ সফলতা আসে
সম্পর্কের সমাধিতে মনে মনে ফুলেল অর্ঘ্য দিয়ে
আমি কর্ম-চাঞ্চল্যের ঘুর্ণিবর্তে ঝাপিয়ে পড়ি।
রোজ সকালের আয়নায় পরিপাটি প্রতিবিম্ব
পরখ করে দেখি হতাশার কালি লেগে আছে নাকি
তবু, খুব ভালো করেই জানি--
কিছু কিছু দাগ মোছা যায় না
কিছু কিছু অশ্রু লুকানো যায় না ।