আকাশ ছোঁয়া গাছপালার ছাদ ফুঁড়ে
ভেন্টিলেটেড সূর্যালোক ছুঁয়েছে নরম সবুজ
ঘাসের বুক , আধো আলোছায়ার প্রেক্ষাপটে
আলোর সেই স্তম্ভগুলো স্তম্ভিত বিস্ময়ে দেখতে হয় --
ঘাসের চত্বরটি ঘিরেছে ফুলেল শোভা
রঙের এই মেলায় প্রজাপতি নাচবে না ,তাই কি হয়?
মনের আনন্দে পাখীরাও ঊড়ছে ডালে ডালে
মিশ্র স্বরলিপির কনসার্টে ভাসছে যেনো সব
তাদের সুরেলা গানে মুখরিত চারপাশ।
কাছ থেকে আসছে জলধারার গুন গুন ,
জলাশয় পেরিয়েই ভূমির উন্নতি,পাহাড়-শ্রেণির কোল ঘেষে
নেমেছে জলপ্রপাত --অবিরাম গুঞ্জন নিয়ে নামছে
জলরাশি--রাশি রাশি--প্রবল উচ্ছ্বাসে।
নির্ভিক হরিণ-সাবকের দল মায়াবি চোখ মেলে দেখে যায়
তাদের আবাসে নতুন আগন্তুককে ---
তাদের সাবলীল গর্বিত চলনে যেনো
ছবির বুকে ফোটে প্রাণের উৎসব ।
স্বচ্ছ জলের ঘেরাটোপে নিঃশব্দে হুটোপুটি চলে
বর্ণিল নানা মাছেদের--
পাতার নৌকোয় চড়ে পিঁপড়েদল যেনো মগ্ন
তাদেরই খেলা দেখতে নীচের অগভীর টলটলে জলে।


এ ভূস্বর্গ কিন্তু নিষ্কণ্টক , নিরঙ্কুশ নিরাপদ নয়,
নয় এ শ্বাপদ মুক্ত, নয় এ সাপের চলাচল বিহীন এলাকা,
আছে ডানপিটে মশাদের উৎপাতও --মাছিদের ঘ্যান ঘ্যান।
কাঠ পুড়িয়ে আগুন- ধোঁয়ার আমদানী করা হয়তো
বেমানান হয়ে যাবে এই সুন্দর পরিবেশে--
তবু জীবন রক্ষার তাগিদে কতো কিছুই না করতে হয় মানুষকে !


এই ভূস্বর্গে থাকতে হলে--
অনেক প্রতিকূলতাকেই করতে হবে জয় --
সাবধানী হবার অভ্যাস মানুষের জন্মগত ;
জীবনের চ্যালেঞ্জটাকে সহজাত প্রবৃত্তিতে জয় করার মানসেই
সে তৈরী করেছে নিজেকে ।
নিপাট সাজানো স্বর্গে তার মন ভরে না
সৌন্দর্য্য-সুখ সে অর্জন করে নিতে চায় --অবচেতনে।


প্রকৃতিও চেনে সৃষ্টির সেরাদের--
রূপের পসরা সাজিয়ে তাই সে আপন করে নেয় তাদের
পরম মমতায়--
বিলিয়ে যায় আনন্দে তার অনিন্দ্য রং-রূপ -সুধা--
ততোদিনই যতোদিন না অবমাননা করা হয় তাকে।